মাসুদ আলম।। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। একটি ঘরের জন্য তিন সন্তান নিয়ে তিন বছর ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দিনমজুর আবদুল খালেক। এখন ভাড়ায় থাকছেন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার কৃষ্ণপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে। খালেক লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামের সফিকুর রহমানের ছেলে। মাটি কাটা শ্রমিক খালেক পাঁচ সদস্যের পরিবারের খাবার যোগানের সাথে বাসা ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি মাথা গোঁজার একটি ঠাঁই চান।
আবদুল খালেক বলেন, পৈত্রিক অল্প সম্পত্তিতে ভাইয়েরা থাকছেন। তিনি কখনও চাচার বাড়ি, কখনও অন্য আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছেন। ২০১৯সালে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তিনি একটি ঘরের জন্য আবেদন করেন। এখন ৫০০টাকা ভাড়া দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে থাকছেন। তার আশা এই প্রকল্পে তিনি একটি ঘর পাবেন। তিনি একটি ঘরের জন্য তিন বছর ধরে ঘুরছেন। আট বছর, চার বছর ও দেড় বছর বয়সের তিন সন্তান নিয়ে তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন।
মনপাল গ্রামের আলী আকবর বলেন, আবদুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে মানুষের বাড়িতে থাকছেন। আবেদন করে তিন বছর ধরে ঘুরছেন। একটি ঘর পেলে সে পরিবার নিয়ে থাকতে পারবে।
লাকসাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলম বলেন, চলতি বছর ঘরের নির্দিষ্ট কোটা পূরণ হয়ে গেছে। তার বিষয়টি আমরা আগামীতে বিবেচনা করবো।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, লাকসাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।