নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ওভারে আম্পায়ারের নো বল না দেওয়া নিয়ে ক্ষেপে যান সাকিব। মাঠে থাকা মাহমুদুল্লাহকে খেলা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বলেন। ওই দিন খেলার পর বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমের গ্লাসের দরজাও ভাঙচুর হয়, যে কাণ্ডে সাকিবও ছিলেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় সাকিব পরে ক্ষমা চান।
আম্পায়ারের সঙ্গে ঝামেলা, নভেম্বর ২০১৫
বিপিএলের একটি ম্যাচে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এলবির আবেদনে সাড়া না দিলে মুখের ওপর ক্রুদ্ধ আচরণ করেন সাকিব। এ ঘটনায় তাকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকায় জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল তাকে, কিন্তু সাকিব যেতে চাচ্ছিলেন সিপিএল খেলতে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে। লন্ডনে ট্রানজিটে থাকা অবস্থায় সাকিব জাতীয় দলের নতুন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে এসএমএস করে জানান, ক্যাম্পে যোগদানের বদলে বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেবেন তিনি। কোচের সঙ্গে 'গুরুতর অসদাচরণে'র কারণ দেখিয়ে বিসিবি তাকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে। যদিও পরে তা তিন মাস কমিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে তখন বৃষ্টি আসায় খেলা বন্ধ। ওই সময় ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে এক দর্শককে পেটানোর অভিযোগ আসে সাকিবের নামে। স্ত্রী শিশির টিজিংয়ের শিকার হওয়ায় ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়েছেন বলে স্বীকার করেন সাকিব, তবে পেটানোর কথা অস্বীকার করেন।
টিভি সম্প্রচারে অশালীন ভঙ্গি, ফেব্রুয়ারি ২০১৪
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডেতে টিভি সম্প্রচারের ক্যামেরা ড্রেসিংরুমের দিকে তাক করা হলে অশ্নীল ও কুরুচিপূর্ণ ভঙ্গিমা করেন সাকিব। সরাসরি সম্প্রচারে এমন কাণ্ড ঘটানোয় তাকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গ্রাউন্ডস্টাফের ওপর ক্ষোভ, অক্টোবর ২০১০
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে চলছিল তখন। একজন গ্রাউন্ডস্টাফ সাইটস্ক্রিনের সামনে হাঁটাচলা করায় তাকে ব্যাট দিয়ে মারার ভঙ্গি দেখান সাকিব। এ ঘটনায় ম্যাচ রেফারি তাকে ওয়ার্নিং দেন, তবে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।