চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানান। এঘটনায় পরী মামলা দায়ের করার পর প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার সেই ঘটনায় ও পরবর্তী বিভিন্ন দিক নিয়ে ইত্তেফাক অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন পরীমণি।
অনলাইন: আপনার শরীরের অবস্থা এখন কেমন?
পরীমণি: আমার শরীরটা অনেক দুর্বল। লো প্রেশারে ভুগছি। সহজে কিছু খেতে পারছি না। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলছি। টুকটাক যতটা পারছি খাওয়ার চেষ্টা করছি।
অন্য মেয়েরাও মুখ খুলবে: পরীমণি
অনলাইন: আপনার মামলা নিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে প্রধান আসামিসহ ৫ জন। আপনাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার বিষয়টি সংসদ পর্যন্ত গড়িয়েছে। আপনার জন্য বিচার চেয়েছেন একজন সংসদ সদস্য। আপনার বাসার সামনে পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন কি একটু আশ্বস্ত হতে পারছেন?
পরীমণি: আমি অনেক সাহস পাচ্ছি। আরো শক্ত হয়ে আমি দাঁড়াতে পারবো। সবাই আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছে এবং দিচ্ছে সেটার জন্য সবার কাছে আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।
অন্য মেয়েরাও মুখ খুলবে: পরীমণি
অনলাইন: আপনি একজন চলচ্চিত্রকর্মী। আপনাদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব শিল্পী সমিতির। কিন্তু সেখান থেকে কি এখনো কোনো সহায়তা পেয়েছেন?
পরীমণি: শিল্পী সমিতির সহায়তা পাইনি এমনটা নয়। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ভাইয়াকে আমি ঘটনা খুলে বলেছি। কিন্তু ঢাকার বাইরে থাকার কারণে অনেক সময় নিচ্ছিলো। কিন্তু অতটা সময় আমার কাছে ছিলো না। আমি শুধু বুঝেছি আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। তাই সময় না নিয়ে সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছি। আশা করি শিল্পী সমিতির সবাই আমার পাশে থাকবে।
খুব বিভীষিকাময় একটি ঘটনা পেরিয়ে এসেছেন। আপনার অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা যায়, আমরা যতই নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলি না কেনো, আমাদের রাষ্ট্রে কিংবা সমাজে নারীরা এখনও অরক্ষিত। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যে ধরনের অবস্থান নিয়েছেন তাতে অন্য মেয়েরা সাহস পাবে?
পরীমণি: আমার সঙ্গে যে ঘটনাটা ঘটেছে এটা তো একবারে ঘটেনি। এমন ঘটনা ঘটাতে ঘটাতে তারা এতো সাহস পেয়েছে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর দ্রুত প্রধান আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শান্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছি। এখন অন্য মেয়েরাও মুখ খুলতে সাহস পাবে।
অন্য মেয়েরাও মুখ খুলবে: পরীমণ অনলাইন: পরীমণি কি আবার আগের মতো হাসিখুশিভাবে অভিনয় করতে পারবে?
পরীমণি: ওই সময়টার কথা মনে হয়ে ভয় লাগে। যে কারণে সেই সময়টার কথা মনে করতে চাই না। বর্তমানে যে সময়টা আমি পার করছি সেটা থেকে বের হয়ে এসে আমি কাজে ফিরতে চাই। আগের মতো হাসিখুশিভাবে চলতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।