স্ন্যাপচ্যাট থেকে বিতর্কিত স্পিড ফিল্টার সরাচ্ছে স্ন্যাপ। ফিল্টারটির মাধ্যমে গতিময় অবস্থার ছবি তুলে তা শেয়ার করতে পারতেন ব্যবহারকারীরা। কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে ফিল্টার ব্যবহারের সময়, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। দুর্ঘটনা কবলিতদের অধিকাংশই টিনএজার।
স্ন্যাপ অবশ্য বলছে, ফিল্টারের ব্যবহার খুব কম হয়, তাই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ২০১৩ সালে প্রখমবারের মতো ব্যবহারকারীদের জন্য স্পিড ফিল্টার নিয়ে এসেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিন কিশোর। পরে এ বছরের মে মাসে নাইনথ সার্কিট আপিলস কোর্ট এক রায়ে জানান, মৃত তিন কিশোরের বাবা-মা চাইলে স্ন্যাপের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। স্ন্যাপ এরই মধ্যে ওই মামলা খারিজের জন্য আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, স্পিড ফিল্টারের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনি।
ইচ্ছা করেই ফিল্টারটি খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটিও কঠিন করে দিয়েছে স্ন্যাপ। পৃথক একটি মেনুর ভেতরে রেখেছে ফিচারটিকে। এনপিআর এর প্রতিবেদন বলছে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিচার করলে স্পিড ফিল্টার তেমন কিছু নয়।
সিনেট এ বিষয়ে স্ন্যাপের কোনো মন্তব্য সংগ্রহ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে প্রতিবেদনে।