দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক মাসে (গত ১৯ মে থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত) ভারতে আটকেপড়া ২৬২ জন বাংলাদেশি যাত্রী ফেরত এসেছেন। এর মধ্যে নয়জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। সর্বশেষ শনিবার (১৯ জুন) দেশে ফিরেছেন তিনজন যাত্রী।
এদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইন শেষে বাসায় ফিরে গেছেন ১৫৩ জন। করোনা পজিটিভ নয়জনকে নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে আসা ১০০ জনকে হাকিমপুরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
১৯ মে থেকে কলকাতার বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) এবং করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভারতে আটকেপড়া যাত্রীরা দেশে ফেরত আসা শুরু করে। এক মাসে ভারতে আটকেপড়া ২৬২ জন যাত্রী হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি সেকেন্দার আলী জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১৯ মে থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ২৬২ জন বাংলাদেশি হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে তারা দেশে ফিরছেন।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর-এ আলম বলেন, ভারত থেকে দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশি যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে আমরা র্যাপিড এমটিআইজেইএন কিটসের মাধ্যমে করোনা টেস্ট করানোর পর হাকিমপুর ও বিরামপুর উপজেলার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়। ভারত থেকে আসা ২৬২ জনের মধ্যে নয়জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। তাদের নির্ধারিত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও ১৮ জুন পর্যন্ত ১৫৩ জনকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।