চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের তিন সহযোগীকে মাদক মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া আাসামিরা হলেন- নাজমা আমিন বৃষ্টি (২৪), লিপি আক্তার (১৮) ও সুমি আক্তার (১৯)।
এদিন তিন দিনের রিমান্ড শেষে ওই তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৬ জুন ওই তিন আসামির তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। একই দিন মামলার অপর দুই আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির সাত দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে নাসির ও অমি রিমান্ডে আছেন।
অপরদিকে পাসপোর্ট আইনের মামলায় তুহিন সিদ্দিকী অমির রিক্রুটিং এজেন্সি সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের দুই কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার শুনানি শেষে একই বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আসামিদের জামিন আদেশ দেন। জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- বাছির ও মশিউর মিয়ার।
গত ১৫ জুন রাতে দক্ষিণখান থানার আশকোনা হাজি ক্যাম্প সংলগ্ন সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার নামের রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে দুই কর্মকর্তা বাছির ও মশিউর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০২টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় অমিসহ ওই তিনজনের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়।
গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন, তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি। রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, গত ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমির সঙ্গে আশুলিয়ার একটি ক্লাবে যান তিনি। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদেরই একজন হঠাৎ জোর করে তার মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরদিন ১৪ জুন সাভার থানায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন পরীমনি। ওইদিন বিকাল তিনটার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে ওই পাঁচ আসামি গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের সময় আসামিদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।