গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে সোনিয়া আক্তারের (৩০) পর তার শিশু মেয়ে হুমাশারও মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুন) দুপুরের দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোনিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সন্ধ্যায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শিশু হুমাশার মৃত্যু হয়।
নিহত সোনিয়ার বোন জামাই সাইফুল ইসলাম জানান, সোনিয়া প্রতিদিনের মতো আজ সকাল ১০টার দিকে রান্না করতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সোনিয়াসহ তার মেয়ে দগ্ধ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দগ্ধ মা-মেয়েকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনে। হাসপাতালে আনার পর সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোনিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় সোনিয়ার আড়াই বছর বয়সী মেয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যায়।
সাইফুল ইসলাম জানান, সোনিয়ার বাবার বাড়ি বাগেরহাট সদর থানার কাপালীবন্দর এলাকায়। বর্তমানে তারা শ্রীপুর থানার মাওনা এনসি বাজার এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইয়ুব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাজীপুর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ মা-মেয়ে এখানে এসেছে। আনার পর সোনিয়া আক্তার মারা যায় এবং তার আড়াই বছরের শিশু হুমাশার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে শিশুটিরও মৃত্যু হয়।