Published : Sunday, 20 June, 2021 at 12:00 AM, Update: 20.06.2021 2:17:05 AM
বশিরুল ইসলাম ||
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ১৩৮ জন শিক্ষার্থী নিয়েছেন চীনা সিনোফার্মার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। গতকাল শনিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভ্যাকসিন বুথে এই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসময় কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ, কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বিএমএ কুমিল্লার সভাপতি আব্দুল বাকী আনিছ, বিএমএ’র নেতৃবন্দসহ কলেজের শিক্ষক, হাসপাতালের ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন । সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, কুমিল্লায় শনিবার ১৯জুন প্রথম দিনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ১৩৮জন শিক্ষার্থী সিনোফার্মের ভ্যাকসিনটি নিয়েছে এবং ঐদিনই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছি। নির্দেশনা মোতাবেক মেডিকেল শিক্ষার্থী, নার্সিং শিক্ষার্থী , প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে যারা স্মার্ট কার্ডধারী প্রবাসী শ্রমিক, চীন থেকে যারা আমাদের দেশে কাজ করছে অর্থাৎ চীনা শ্রমিক এদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনবো। তাছাড়াও প্রাথমিক পর্যায়ে এ্যাপসের মাধ্যমে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদেরকেও এই ভ্যাকসিনের আওতায় আনবো। এই ভ্যাকসিনটি ২৮দিনের মাথায় দুটি ডোজ দিতে হবে এবং কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। জানা গেছে, সিনোফার্মার দুই ডোজের এই ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার পাবেন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী, ফ্রন্টলাইনার, আগে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন এমন ব্যক্তি ও প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয়ের নিবন্ধিত প্রবাসীরা। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাড়াও বেসরকারি ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারবেন। কুমিল্লায় করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন আরো বলেন, কুমিল্লায় করোনা পরিস্থিতি উর্দ্ধগতির দিকে অর্থাৎ বাড়ছে। তবে তুলনামূলকভাবে হাসপাতালে সে অর্থে রোগীর পরিমান তেমন বাড়েনি। কুমিল্লার জন্য চীনা এই ভ্যাকসিনটি এসেছে ৩৩ হাজার ৬ শ ডোজ। গত ১৬ জুন দুপুরে কুমিল্লায় সিনোফার্মার এই ভ্যাকসিন গুলো কুমিল্লায় এসে পৌঁছায়। অন্যান্যদের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে আমরা ৫৬কার্টুন ভ্যাকসিন গ্রহন করি। কুমিল্লা মেডিকেল কলেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ও ফ্রন্টলাইনারদের টিকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। এতে করে আমাদের স্বাস্থ্য শিক্ষার যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আমরা মনে করি অনতিবিলম্বে আমাদের কাশ গুলো শুরু করতে পারবো পরীক্ষাগুলো নিতে পারবো। এজন্য স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কুমিল্লার সভাপতি আব্দুল বাকী আনিস বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিন দেওয়া আজ থেকে শুরু হচ্ছে । ২৮দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। অন্যথায় ভ্যাকসিন দিয়ে কোন লাভ নেই। আপনারা জানেন মাস্কের অপর নাম হলো ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন নেয়া মেডিকেল শিক্ষার্থীরা জানান, ভ্যাকসিন নিতে কোন সমস্যা হয়নি। এখন পর্যন্ত কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করিনি। আমাদের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্য দিদয়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। ৫ম বর্ষের নতুন ও পুরাতন শিক্ষার্থীরা সকলে আজকে ভ্যাকসিনেটেড হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া সে দিক থেকে আমরা এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে খুব সুন্দরভাবে ভ্যাকসিনটা দেওয়া হয়েছে । এখন আশা করছি আমরা দ্বিতীয় ডোজ যথা সময়ে দিতে পারবো।