আর্জেন্টিনার জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করলেন লিওনেল মেসি। সাবেক ডিফেন্ডার হাভিয়ের মাসচেরানোর সমান ১৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
৭৩টি গোল নিয়ে আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতাও মেসি। আগামী ম্যাচেই মাসচেরানোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন মেসি।
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেসি লিখেছেন, আমার বন্ধু মাসচেরানোর সমান ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পেরেছি। আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা সবসময়ই সম্মানের ব্যাপার।
আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি প্রতিম্যাচেই তার দল নিয়ে বেশ পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন, কোপা আমেরিকার মতো মেজর ইভেন্টে যেটি বেশ সাহসের কাজও বটে! প্যারাগুয়ের বিপক্ষে একাদশটাই দেখুন। আগের ম্যাচের স্টার্টিং লাইনআপের সঙ্গে পার্থক্যটা ৬জনের! অর্থাৎ উরুগুয়ের সঙ্গে যারা খেলেছিলেন, সেই একাদশের ৬জনই নেই আজকের একাদশে।
ডিফেন্সটা ঠিক রেখে আক্রমণাত্মক দল সাজান স্ক্যালোনি। ফরোয়ার্ড লাইনে দুই ফ্লপ লওতারো মার্টিনেজ আর নিকো গঞ্জালেসকে বসিয়ে নামান অভিজ্ঞ ডি মারিয়া আর সার্জিও অ্যাগুয়েরোকে। সঙ্গে পাপু গোমেজকেও নিয়ে আসেন অ্যাটাকিংয়ে। মেসি তো ছিলেনই। স্ক্যালোনির ফরমেশনটা এমন, ৪-২-৩-১।
কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ডি মারিয়া-গোমেজরা। মেসির বাড়ানো বল ধরে ডি মারিয়া এগিয়ে যান, ডি বক্সের ভেতর দাঁড়ানো পাপু গোমেজকে খুঁজে নেন। দারুণ এক ফিনিশিংয়ে গোমেজ বল পাঠিয়ে দেন প্যারাগুয়ের জালে। আর্জেন্টিনার লিড। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ১০ মিনিট।
দ্বিতীয়ার্ধে এলোমেলো ফুটবল খেলেছে দুই দল। অ্যাগুয়েরো-ডি মারিয়া-গোমেজ সবাইকেই তুলে নেন কোচ, নামান কোরেয়া-ডি পলদের। তারাও আর গোল আদায় করতে সক্ষম হন নি। বল দখলে রেখে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে প্যারাগুয়ে। তবে আরও একবার নিজেদের জাল রক্ষা করতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনা।
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সবশেষ জয়টা ২০১৫ সালে। অর্ধযুগ পর আবারো তাদের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেল মেসিবাহিনী। এ নিয়ে আসরে টানা ২য় জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো আর্জেন্টিনা। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল আর্জেন্টিনা।