ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘আমরা ১০-১১ গোল খেতাম, এখন ৫-৬টা খাই’
Published : Tuesday, 22 June, 2021 at 12:42 PM
‘আমরা ১০-১১ গোল খেতাম, এখন ৫-৬টা খাই’বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে দুই পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপে তলানিতে থেকেও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে টিকে গেছে লাল-সবুজ দলের সেনানিরা। ঢাকায় ফিরে জামাল ভূঁইয়াদের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে ইংলিশ কোচ জেমি ডে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সোমবারের (২১ জুন) বাফুফে ভবনের সেই আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় ওঠে এসেছে। সভা শেষে দু’জনেই মিডিয়ার কাছে নানান কথা তুলে ধরেছেন।

বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে কাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি কীভাবে খুশি হতে পারি? আবার খুশিও না, অখুশিও না। যখন আমরা (৭০ ও ৮০ দশকে) খেলতাম, জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শঙ্কর দা (হাজরা), এনায়েত ভাই (এনায়েতুর রহমান) এবং আমি সালাউদ্দিন মিলেও ১০-১১ গোল খেতাম। এখন ৫-৬টা খাই। গোল খাওয়ার সংখ্যা নেমে এসেছে।’

তবে জামালদের এমন ফলে খুশিও নন সালাউদ্দিন। আবার হতাশও নন। দুইরকম অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই ফলে খুশি নই। বাছাইয়ের এই ফলে আসলে খুশি হওয়ারও কিছু নেই, কান্নাকাটি করারও কিছু নেই। বাছাইয়ে সবচেয়ে ভালো লেগেছিল সল্টলেকে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি। কিন্তু এবার কাতারে সল্টলেকে খেলা দলের ৬-৭ জন খেলোয়াড়ই ছিল না, যারা দলের মূল খেলোয়াড়।’

ইংলিশ কোচ জেমি ডে আগামীতে থাকবেন কিনা এ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা ছিলো। সালাউদ্দিনের সঙ্গে বাফুফে ভবনে ডে সভাও করেছেন। সালাউদ্দিন অবশ্য সভা শেষে ইতিবাচক কথাই বলেছেন, ‘আমি যে চেয়ারটায় বসে আছি, এখানে বসে কোচকে নিয়ে কথা বলা যায় না। এটা নিয়ে বলার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক আছে। তবে এতটুকু বলতে পারি, জেমির সঙ্গে আমার চুক্তি রয়েছে। সামনের এশিয়ান কাপ নিয়ে দু’একদিনের মধ্যে সে একটা পরিকল্পনা দেবে। সেটা দেখে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।’

বাফুফের সভাপতির সঙ্গে সভা শেষে ডে সংবাদ মাধ্যমকে আগামী দিনগুলোতে ভালো করে কাজে লাগানোর কথাই জানালেন। বলেন, ‘ভালো একটা মিটিং হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে একটি ভালো পরিকল্পনা করে কীভাবে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে একটা পরিকল্পনা জমা দেবো। সামনে তিনটি ফিফা উইন্ডো আছে। সেগুলো ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাই। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেতে চাই এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের চূড়ান্ত পর্বে।’

ডের নিজের চাকরি নিয়ে সরাসরি উত্তর দিয়েছেন, ‘আমার চেয়ে অন্যরা বেশি উদ্বিগ্ন। এই চাকরিতে সবসময় উত্থান-পতন থাকবে। এ নিয়ে আমার কোনও দুশ্চিন্তা নেই। বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়াই চিন্তা আমার। আমরা এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে কোয়ালিফাই করেছি। লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তবে আরও বেশি পয়েন্ট পেতে পারতাম। তবে, এটা এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।’