ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না গণপরিবহন, বিকল্প যান না থাকায় দুর্ভোগ
Published : Tuesday, 22 June, 2021 at 1:20 PM
ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না গণপরিবহন, বিকল্প যান না থাকায় দুর্ভোগহঠাৎ লকডাউনে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকার লোকজন। সকাল থেকে রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো গণপরিবহন। রাজধানীতে যেসব যান চলাচল করছে সেগুলোও যাত্রীতে ঠাসা। যানবাহন কম থাকায় অনেকেই ঠেলাঠেলি করে বাসে চড়েন। কেউ কেউ আবার গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে ছোটা শুরু করেন।

ঢাকার আশপাশ থেকে যারা রাজধানীতে এসে অফিস করেন, তারা যানবাহন না পেয়ে বিপাকে পড়েন। বিকল্প যান পর্যাপ্ত না থাকায় বহুদূর হেঁটে গাড়ির নাগাল পেতে হয়েছে।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্পটে মঙ্গলবার সকালে এই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন রাজধানীর আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, দূরপাল্লা ও সিটি সার্ভিসের কোনো বাস ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাসের তীব্র সংকট। অনেকক্ষণ পর পর গাড়ি এলেও তাতে ওঠার জো নেই, প্রচণ্ড ভিড়। এদিকে মুষলধারে বৃষ্টি বইছে।

যারা বাসে উঠতে পেরেছেন সিট পাননি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তো বালাই নেই।

দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি না পেয়ে অনেকে হেঁটেই অফিসের দিকে ছুটেছেন। বৃষ্টিভেজা শরীরে অনেককে হাঁটতে দেখা গেছে।

পরিবহন স্বল্পতার পাশাপাশি সৃষ্টি হয় যানজটেরও। এয়ারপোর্ট-বনানী রুটে দীর্ঘ যানজট ছিল।

সুযোগ বুঝে বেশি ভাড়া নেয় সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশাগুলো। কোথাও কোথাও ভ্যানে করে পার হতে হয় জলাবদ্ধ সড়ক।

এ সময় অফিসগামী অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে অফিস চালু রেখে বাস বন্ধ করে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। যানবাহন না পেয়ে অনেকে ঠাসাঠাসি করে বাসে উঠছেন এতে স্বাস্থ্যবিধি ঠিক থাকল কোথায়? বাস বন্ধ করলেও বিকল্প যান সড়কে রাখার দাবি তার।

গাজীপুর থেকে ঢাকায় এসে নিয়মিত অফিস করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী রুম্মান এক ঘণ্টা হেঁটে আবদুল্লাহপুর পৌঁছান। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে সড়কে গাড়ি নেই। অন্য সময় অটোরিকশাও থাকে সড়কে। আজ সেটিও নেই। আবদুল্লাহপুরে গাড়ি না পেয়ে বৃষ্টির মধ্যে অনেকটা কাকভেজা হয়েই তিনি অফিসের পথ ধরে হাঁটা শুরু করেন।

গাবতলী বাস টার্মিনাল ও আমিনবাজার বাসস্ট্যান্ডের খবর হচ্ছে— গাবতলী ব্রিজের আগে থেকেই গণপরিবহনগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে জরুরি সার্ভিসের আওতায় যেসব পরিবহন রয়েছে, সেগুলোকে চলাফেরা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

গণপরিবহন থেকে নামিয়ে দেওয়ার কারণে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সবাই পায়ে হেঁটে নিজেদের গন্তব্যে ছুটছেন। সাভার থেকে আসা আমিন বলেন, আমি গুলিস্তানের বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু আমিনবাজার আসার আগেই আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে পায়ে হেঁটে যেতে বাধ্য হচ্ছি।

সাভার থেকে আসা চাকরিজীবী আমিনুল বলেন, বাস বন্ধ থাকায় আমরা হেঁটে যেতে বাধ্য হচ্ছি।