দীর্ঘদিন কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন থাকার পর অবশেষে কাতারে রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। প্রায় চার বছর পর কাতারে নিয়োগ পাওয়া নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতের নাম মানসুর বিন খালেদ বিন ফারহান আল সৌদ। সোমবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আল সানির কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
পরিচয়পত্র পেশকালে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রদূতের পেশাগত সাফল্য কামনা করেন।
২০১৭ সালের ৫ জুন কথিত সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। আরোপ করা হয় স্থল, নৌ ও বিমান অবরোধ। পরে ওই অবরোধ প্রত্যাহারে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরে সৌদি জোট। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া, কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। তবে সৌদি জোটের দাবি প্রত্যাখ্যান করে উল্টো তুরস্কের দিকে আরও বেশি ঝুঁকে পড়ে কাতার। তুরস্কও কাতারের সমর্থনে এগিয়ে আসে। বলা চলে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান একাই সৌদি আরবের কাতারবিরোধী অবরোধ ব্যর্থ করে দেন। এ ঘটনা রিয়াদকে আরও ক্ষুব্ধ করে তোলে।
এক পর্যায়ে ইরানকে ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের দুই মিত্রের মধ্যকার বিবাদ ঠেকাতে উদ্যোগী হয় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন। কুয়েতও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেয়। অবশেষ ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি সৌদি আরবে উপসাগরীয় দেশগুলোর এক শীর্ষ সম্মেলনে সৌদি জোটের সঙ্গে কাতারের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সমঝোতা হয়। সীমান্ত খুলে দেয় সৌদি আরব ও দেশটির মিত্ররা। এর ধারাবাহিকতায় দোহায় রাষ্ট্রদূত পাঠায় রিয়াদ।