চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে নারায়রগঞ্জ থেকে চাঁদপুরের হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৩ জন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। ২২/০৬/২০২১ইং তারিখ রাত ০১.০০ ঘটিকার সময় নারায়নগঞ্জ জেলাধীন ফতুল্লা থানা এলাকার দেলপাড়া নামক স্থান হতে দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করিয়া গ্রেফতার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, চাঁদপুর সদর সার্কেল মোঃ আসিফ মহিউদ্দিন ওচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদের দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মার্তা এসআই সুমন চন্দ্র নাথ অভিযান পরিচালনা করে নারায়নগঞ্জ জেলাধীন ফতুল্লা থানা এলাকার দেলপাড়া নামক স্থান হতে দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করে রাত ১টায় মোঃ মোরছালিন (২১), মোঃ শহীদ উল্লাহ (৬৫), মোসাঃ জোসনা বেগম(৪১)কে আটক করা হয়।
গত ৩০ মে সন্ধ্যা অনুমান সোয়া ৭ টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদি গ্রামে খানবাড়ির ইকবাল হোসেন খান বাড়ির পাশে মুদি দোকানে ব্যবসা করতো। পাশ্ববর্তি খাঁ বাড়ির দেলোয়ার হোসেন দেলু খার সাথে সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। গত ৩০ মে সন্ধ্যা অনুমান সোয়া ৭ টার দিকে প্রতিপক্ষ ইকবাল হোসেন খানকে দোকানের ভেতর পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে ইকবাল হোসেন খান খোকার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। প্রথমে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৭ জুন সকাল সাড়ে ১০ টায় মারা যায়।এ ব্যাপারে নিহত ইকবাল হোসেন খান খোকনের ছেলে মোঃ সোহেল খান বাদী হয়ে আদালতে ১৩ জনের নাম প্রকাশ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। ঐ মামলার প্রেক্ষিতে চাঁদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাঁদপুর সদর (সার্কেল) মোঃ আসিফ মহিউদ্দিন ও চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদের দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মার্তা এসআই সুমন চন্দ্র নাথ নারায়নগঞ্জ জেলাধীন ফতুল্লা থানা এলাকার দেলপাড়া নামক স্থান অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামিয় ২ নং আসামী মোরছালিন, ৬নং আসামী শহীদুল্লাহ ও ১৩নং আসামী জোস্না বেগম কে আটক করা হয়।
চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া জানান,ঘটনার দিন নাকি বিবাদীরা ভিকটিমকে তাহার মুদি ও চা দোকানে একা পাইয়া প্রথমে মারধর করে লীলা ফুলা জখম করেন। এক পর্যায়ে ইকবাল হোসেন খোকন এর গায়ে পেট্রাল ঢেলে দিয়ে দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভিকটিম আগুনে ছট ফট করিয়া পড়নের লুঙ্গী ফেলে বাঁচার জন্য পার্শবর্তী বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরন করেন। আশংকাজন দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ জুন সকাল সাড়ে ১০ টায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই মামলার দায়ের করা ৩ আসামীকে নারায়নগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে। মামলার বাদী মোঃ সোহেল খান জানান, আটক তিন জনই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আটক জোস্নার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা চলমান রয়েছে। ২০১৩ সালে জোস্না বেগম ও তার স্বামী হত্যা মামলার প্রধান আসামী দেলোয়ার হোসেন দেলুকে ৩৬৪ বোতল ফেন্সিডিল ও ৭৪০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক করা হয়ে ছিল। নিহত ইকবাল হোসেন খোকনের পরিবারকে খুনিরা এখনো নানা ভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচরছে। এ পরিবারটি নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে। মামলার তদন্ত কারি কর্মকর্তা সুমন চন্দ নাথ আটক আসামীদের কে আদালতে প্রেরন করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন।