লকডাউনের মধ্যেও মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের কিছুটা চাপ দেখা গেছে। সারাদেশে সোমবার (২৮ জুন) থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী পারাপারে যাত্রীর চাপ দেখা যায়। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের এই চাপ স্বাভাবিক।
শনিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে ফেরিঘাটে যাত্রীদের থেমে থেমে ভিড়সহ ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদ জানান, ১৪টি ফেরি জরুরি সেবার যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। পণ্যবাহী যানসহ কোনও ধরনের যানকে ঘাটে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না।
ভিড়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ফেরি যখন ঘাটে নোঙর করে তখন যাত্রীদের ফেরিতে ওঠা-নামার জন্য একটু ভিড় হয়।’
এদিকে, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে বেশ কিছু চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। যানবাহনকে নিয়ন্ত্রণে এসব চেকপোস্ট বসানো হলেও যাত্রীরা পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রাফিক ও জেলা পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কোনও যানবাহন ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া প্রতিটি উপজেলাসহ জেলা সদরেই ছয়টি চেকপোস্ট রয়েছে। জরুরি সেবার দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এখনও যারা খোলা রাখছেন তাদের বুঝিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল থেকে জেলায় কঠোরভাবে লকডাউন পালনে কার্যকর বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।