যশোরে করোনা শনাক্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় ৯৫১টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৭০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এ হিসেবে আক্রান্তের হার ৪৯ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুন) যশোর সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ফোকাল পারসন ডা. মো. রেহনেওয়াজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯৪০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৬৯ জনের পজিটিভ ফলাফল এসেছে। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজে ১১টি নমুনা পরীক্ষায় একজনের পজিটিভ এসেছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। এছাড়া যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যশোরে টানা তৃতীয় সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানিয়েছেন, ২৩ জুন মধ্যরাত থেকে এই লকডাউন শুরু হয়। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ এলাকা ভিত্তিক থেকে জেলাজুড়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যা কার্যকর করতে এবার আরও কঠোর অবস্থানে নেমেছে প্রশাসন। ওষুধের দোকান ছাড়া সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকছে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘যশোরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন গ্রাম পর্যায়েও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সংক্রমণের এখন পিক বা ঊর্ধ্বগতির সময় চলছে। তাই এখন কঠোরভাবে বিধিনিষেধসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।’