কানাডায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বেশ পরিবর্তন আসছে। দেশটির করোনার প্রকোপ কমতে শুরু হলেও নাগরিকদের শঙ্কা এখনো কমেনি।
অন্যদিকে কানাডায় গ্রীষ্মের আমেজ শুরু হলেও অনেকেই ঘর থেকে এখনো বের হচ্ছেন না স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে। যারা দুটি ডোজ নিয়েছেন, তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন, কিন্তু আসলে তা নয়। অনেকেই দুটি ডোজ টিকা নেওয়ার পরও আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কানাডার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সরকার প্রধান এবং বিভিন্ন প্রদেশ কর্তৃপক্ষ মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করেছে। বিশিষ্ট কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, করোনার শুরু থেকেই সরকার আগাম সতর্কতা নিতে পিছপা হয়নি। এমনকি এখন পর্যন্ত সরকারের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপেরও তিনি ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে গত ২১ জুন কানাডার ফেডারেল সরকার এক বিশেষ ঘোষণায় উল্লেখ করে যে, আগামী ৫ জুলাই থেকে কানাডার বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী যেমন কানাডার নাগরিক, কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা এবং কিছু বিদেশি নাগরিককে যারা পুরোপুরি টিকা বা দুটি ভ্যাকসিন, নিয়েছেন, তারা সহজেই কানাডায় যাতায়াত করার অনুমতি পাবেন। ৫ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নিয়মে ভ্রমণকারীরা বর্তমানে বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে কানাডায় প্রবেশের পর ১৪ দিনের জন্য স্ব-বিচ্ছিন্ন হতে হবে না বা ৩ দিনের জন্য হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
২১ জুন নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী পট্টি হাজদু বলেন, “আমরা কানাডিয়ান সবাইকে বলে আসছি, আন্তর্জাতিক ভ্রমণে সহজতর পদক্ষেপগুলো তখনই নেওয়া হবে, যখন আমরা দেখব আমাদের সম্প্রদায়গুলো ক্রমবর্ধমানভাবে নিরাপদ হয়ে উঠছে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনি যদি এই গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনি যে দেশে সফর করছেন সেগুলোর নিয়মকানুন পরীক্ষা করে দেখুন। ”
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় ১৪ লাখ ১২ হাজার ২২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৬ হাজার ১৯৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪ জন।