রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ও আমিন বাজার ব্রিজ এলাকা থেকে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে দূরের গন্তব্যে। সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়া, মাগুরা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে পরিবহনগুলো। যাত্রীদের গাড়িতে ওঠাতে চালকরা নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ পরিবহনে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে ঠাসাঠাসি করে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই গ্রামে ছুটছে মানুষ।
শনিবার (২৬ জুন) রাজধানীর আমিন বাজার ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার গন্তব্যে যেসব প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ছেড়ে যাচ্ছে সেসব যানবাহনে মানা হচ্ছে না কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে একে অপরের পাশে বসছেন দূরের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য।
গাদাগাদি করে এভাবে কেন যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রাজশাহীগামী সজল বলছিলেন, সামনে লকডাউন দিয়ে দেওয়া হবে, আর বাস বন্ধ। এ জন্যই আমরা চলে যাচ্ছি বাড়িতে। আল্লাহ ভরসা, কিছু হবে না। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতো কিছুটা রয়েছে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রাইভেটকারের আরেক যাত্রী নয়ন বলেন, ‘বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে রাস্তায় কোনও সমস্যা ছাড়াই পৌঁছাতে পারবো বলে আশা করছি। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতো কিছুটা রয়েছেই, তার পরও বাড়ি যাচ্ছি। কারণ, ঢাকায় থেকে এখন কোনও কাজ নেই।’
রাজশাহী যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন আক্তারসহ তার পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্ন মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ দাম-দর করছিলেন। কিন্তু কম না পাওয়ায় জন প্রতি ১৪শ’ টাকায় তিন জন মাইক্রোবাসে উঠে পড়েন। এই মাইক্রোবাসটিতেও গাদাগাদি করে ১৪ জন যাত্রী উঠানো হয়। এ সময় আক্তার বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তারপরও বাধ্য হয়েই রাজধানী ছাড়তে হচ্ছে। সামনের লকডাউন হয়ে গেলে কী খাবো, কীভাবে চলবো সেই অনিশ্চয়তায় গ্রামে চলে যাচ্ছি পরিবার নিয়ে।’
যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও তৎপরতাও চোখে পড়েনি। তবে গাবতলী জোনের ট্রাফিক বিভাগের টিআই কাজী মাহাবুব বলেন, ‘গাবতলী বেরিকেড দিয়ে যেসব গাড়ি রাজধানীর বাইরে বের হচ্ছে, সেসব গাড়ি আমরা নজরদারিতে রাখছি। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়গুলো আমরা খেয়াল করছি।’
আমিন বাজার ব্রিজ এলাকায় কী ধরনের নজরদারি রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নজরদারি রেখেছি। মাঝেমধ্যে পুলিশ সদস্যরা মনিটরিং করছে।’