ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু
Published : Wednesday, 30 June, 2021 at 12:00 AM
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী ও সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা এবং চরক্লার্ক ইউনিয়নে পুকুরের পানিতে ডুবে একই দিনে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথক পৃথক স্থানে শিশুগুলোর মৃত্যু হয়।  
মৃত শিশুরা হলো- চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের হোরন মিয়ার ছেলে আফসার হোসেন (৪), একই গ্রামের মিলনের মেয়ে মাহি (২), চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আরমান হোসেন (৪) ও জেলা শহর মাইজদীর হরিনারায়ণপুর এলাকার নাজির উদ্দিনের ছেলে নাহিদ হোসেন (৩)।
স্থানীয়রা জানায়, চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে সকালে বাড়ির অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল আফসার। কিছুক্ষণ পরে পরিবারের লোকজন তাকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকে। একপর্যায়ে বাড়ির পুকুরে জাল ফেললে আফসারের দেহ জালে উঠে আসে।
একই গ্রামের শিশু মাহিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।   
এদিকে দুপুরে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে আরমানকে বাড়ির কোথাও দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে পরিবারের লোকজন। এসময় বাড়ির পুকুরের পানিতে আরমানকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন তারা।
সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক দেব জ্যোতি জানান, তিন শিশুকে মৃত অবস্থায় তাদের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। পানিতে থাকা অবস্থায়ই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুরের মহোদুরী বাসিন্দা নাহিদকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করার একপর্যায়ে বাসার পাশের একটি ট্যাংকের সামনে নাহিদের জুতা পড়ে থাকতে দেখে তারা। পরে ট্যাংকের ভেতরে নাহিদকে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।  তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাহিদকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের লোকজনের অজান্তে দীর্ঘ সময় ধরে ট্যাংকে পড়ে থাকায় পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।