আলমগীর হোসেন,দাউদকান্দি:  কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশের ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন দাউদকান্দি সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: জুয়েল রানা। আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকার সম্মেলন কক্ষে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর পক্ষে অতিরিক্ত আইজিপি (এডমিন এন্ড অপারেশন) ড. মোঃ মঈনুর রহমান চৌধুরী বিপিএম (বার) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: জুয়েল রানার হাতে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন। ২০১৯-২০ সালে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে পেশাগত দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা, ভালো আচরণ, নেতৃত্বসহ শুদ্ধাচার চর্চা-বিষয়ক ১৯ টি সূচকে সর্বোচ্চ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে 'জাতীয় শুদ্ধাচার নীতিমালা ২০১৭'র অধীনে তিনি এ পুরস্কারের পান। শুদ্ধাচার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডিআইজি (প্রশাসন) মো: আমিনুল ইসলাম বিপিএম (বার), ডিআইজি (লজিস্টিক) মো: তওফিক মাহবুব চৌধুরী, ডিআইজি (ওয়েলফেয়ার) রুহুল আমিন বিপিএম সহ পুলিশ সদর দপ্তরের উর্দ্বতন কর্মকর্তাগণ। এই বছরই বাংলাদেশ পুলিশে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। প্রথম বারেই এই পুরস্কার অর্জন করেন এএসপি মো: জুয়েল রানা। পুরস্কার হিসেবে তাকে একটি সনদ ও এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে এএসপি জুয়েল রানা আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করেন এবং বলেন, যে কোন পুরস্কার প্রাপ্তিই আনন্দের বিষয়, তবে ২ লাখ ১২ হাজার বাহিনীর মধ্যে প্রথমবারেই জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তি আমার জন্য নিসন্দেহে একটা বিশাল সম্মানের বিষয়। এই পুরস্কার আমাকে ভালো কাজে আরো বেশি উৎসাহ দিবে এবং মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে শক্তি জোগাবে। উল্লেখ্য যে এএসপি মো: জুয়েল রানা তার বর্তমান কর্মক্ষেত্রেও অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। গতমাসেই বাংলাদেশ পুলিশে চালু হওয়া অভিন্ন মানদন্ডের ভিত্তিতে অর্জন করেছেন শ্রেষ্ঠ সার্কেল এএসপির পুরস্কার। মানবিক কাজের মাধ্যমে জিতে নিয়েছেন লক্ষ মানুষের হৃদয়। তিনি এখন মেহনতী মানুষের কন্ঠস্বর। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার বক্তব্য দেখেছেন বিশ্বের অর্ধ কোটি মানুষ, প্রশংসা পেয়েছেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। দাউদকান্দি-চান্দিনার মানুষের কাছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল এএসপি জুয়েল রানা সবার দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।