কত দীর্ঘ ফুটবল ঐতিহ্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, কত কত গ্রেট ফুটবলারের পদচারণা। অথচ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কখনোই ফাইনালের মঞ্চে পা রাখতে পারেনি ইংল্যান্ড। এবার সুবর্ণ সুযোগ। ঘরের মাঠে ফাইনাল মাত্র এক ম্যাচের দূরত্বে। সেমি-ফাইনালে ওঠার পর ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট স্বপ্ন দেখছেন সেই ইতিহাস গড়ার।কোয়ার্টার-ফাইনালে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে শনিবার শেষ চার নিশ্চিত করেছে সাউথগেটের ইংল্যান্ড।
সময়ের সঙ্গে যেন বাড়ছে ইংলিশদের ধার। গ্রুপ পর্বে সেরা হলেও তিন ম্যাচে তারা গোল করতে পেরেছিল মোটে দুটি। পরে শেষ ষোলোয় জার্মানির জালে দুই গোল দেওয়ার পর এবার এক ম্যাচেই চার গোল।
গোটা আসরে এখনও নিজেদের জালে বল ঢুকতে দেয়নি তারা একবারও। তাতে প্রথম দল হিসেবে গড়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম পাঁচ ম্যাচে জাল অক্ষত রাখার কীর্তি।
এবারের আগে ১৯৬৮ ও ১৯৯৬ আসরে সেমি-ফাইনালে উঠেও ফাইনালে খেলা হয়নি ইংল্যান্ডের। এবার আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার আশায় কোচ সাউথগেট।
“এখনও অনেক দূর যেতে হবে আমাদের। আজকের ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই পরের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি আমি।”
“আমাদের সামনে এখন এটিই লক্ষ্য। কখনও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে পারিনি আমরা। এবার আমাদের জন্য আরেকটি সুযোগ ইতিহাস গড়ার।”
শুধু ফর্ম ও ছন্দের কারণেই নয়, ইংল্যান্ডের জন্য বড় সুযোগ ভেন্যুর কারণেও। এবারের আসরের দুটি সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল ওয়েম্বলিতে। গ্যালারির দর্শক থাকবে ইংল্যান্ড দলের জ্বালানি হয়ে।
তবে তাদের সেমি-ফাইনালের প্রতিপক্ষ ডেনমার্কও বেশ উজ্জীবিত ফুটবল খেলছে। আসরের প্রথম ম্যাচে ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন অসুস্থ হয়ে মাঠ ছাড়ার পর দুটি ম্যাচ হেরে যায় তারা। পরে সেই হতাশাকেই শক্তিতে রূপ দিয়ে দারুণ পারফরম্যান্সে এগিয়ে যায় একের পর এক বাধা টপকে।
ডেনিসদের শক্তি ও আবেগের প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন সাউথগেটও। তবে নিজেদের দলীয় একতা আর অভিজ্ঞতায় এই বৈতরণি পার হওয়ার আশা তার।
“আমরা সেমি-ফাইনালে আসতে পেরেছি স্পিরিটের কারণে। অবশ্যই আমাদের খেলার মানও গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক দলকেই দেখেছি, এই ছেলেদের মতো স্পিরিট নেই দেখে ছিটকে পড়েছে।”
“আমরা জানি, ডেনমার্ক কতটা ভালো দল এবং এই টুর্নামেন্টে তারা তা দেখিয়েছে। ক্রিস্তিয়ানের সঙ্গে যা হয়েছে, সেটির আবেগের ঢেউয়ে তারা এগিয়ে চলেছে। এই ম্যাচের অংশ হতে পারা হবে দারুণ। ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে এরকম ম্যাচের অভিজ্ঞতা ওদের চেয়ে আমাদের বেশি। এই ম্যাচে তা কাজে লাগাতে হবে।”
