বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেয়া নতুন চুক্তিপত্রের শর্ত মেনে, সবার আগে দেশের ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির বিবেচনায় থাকা সবাই জানিয়েছেন, বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ এলেও, জাতীয় দলে খেলার বদলে সেখানে যাবেন না তারা।
প্রসঙ্গটি এসেছে মূলত লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৭ খেলোয়াড় নিবন্ধন করার খবরের ভিত্তিতে। সেই ৭ ক্রিকেটার হলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার।
আগামী ৩০ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত হবে এলপিএলের দ্বিতীয় আসর। কিন্তু আগস্টের ২ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত আবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। তাহলে এলপিএলে নিবন্ধনকৃত বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কী হবে? তারা কোনটিতে খেলবেন?
এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপে তিনি পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগে দেশের খেলাই খেলবেন ক্রিকেটাররা। পরে সুযোগ থাকলে বিদেশি লিগগুলোতে যাবেন তারা।
শনিবার ক্রিকবাজে আকরাম খান বলেছেন, ‘এলপিএলের শুরুতে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা থাকতে পারবে না। কারণ তখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের সিরিজ রয়েছে। আমাদের আরও সম্ভাব্য সিরিজ আছে। তবে মাঝে কিছু ফাঁকা সময় আছে। তারা ঐসময়ে গিয়ে এলপিএল খেলতে পারবে।’
নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য সম্ভাব্য ২২ ক্রিকেটারের কাছ থেকে তাদের প্রাধান্য তালিকা নিয়ে ফেলেছে বিসিবি। সেখানে সব ক্রিকেটাররা আগে দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলাকেই বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আকরাম। অর্থাৎ বাংলাদেশের খেলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক সূচি হলে অন্য কোনো লিগে যাবেন না সাকিব-তামিমরা।
আকরামের ভাষ্য, ‘সব ক্রিকেটারই তিন ফরম্যাটে খেলার জন্য প্রস্তুত। তারা জানিয়েছে, জাতীয় দলের দায়িত্বই তাদের প্রথম প্রাধান্য। তারা জানিয়েছে, তারা যদি সুযোগ পায় এবং এলপিএলে খেলার সময় থাকে তাহলে সেখানে খেলবে। তবে সেটা জাতীয় দলের খেলা বাদ দেয়ার বিনিময়ে নয়।’