কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ১৫ জন এবং ছয় জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জন ও উপসর্গে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আর কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় এক জন ও নিজ বাড়িতে এক জন মারা গেছেন।
রবিবার (৪ জুলাই) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার ও কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ১৯৩ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৩৬ জন, দৌলতপুরের ৪৫ জন, কুমারখালীর ৩১ জন, ভেড়ামারার ২৭ জন, মিরপুরের ২৩ জন ও খোকসার ৩১ জন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৪৯৩ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৬৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন দুই হাজার ২২৮ জন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে তৎপর রয়েছে পুলিশ। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি করা হচ্ছে। সবার কাছ থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সহযোগিতা পাচ্ছি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের মধ্যেও কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তাঘাটে চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার প্রবণতার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে বিধিনিষেধ প্রতিপালনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।