দেবীদ্বার হ্যালো ছাত্রলীগের উদ্যোগে পৌর এলাকায় করোনা প্রতিরোধে নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৪টি ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। অপরদিকে পৌরসভার উদ্যোগেও আরো ৪টি ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’ স্থাপন করা হবে। একই অনুষ্ঠানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ফ্রি সেবাদানে ৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় চলমান কঠোর লক ডাউনে হ্যালো ছাত্রলীগ ও পৌর প্রশাসনের উদ্যোগে দেবীদ্বার সদর এলাকায়র ৮টি জনগুরুত্বপূর্ণ স্পটে ওই ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’ স্থাপন করা হবে।
রোববার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে উক্ত ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’ স্থাপন কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতিতে ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাসেম ওমানী, হ্যালো ছাত্রলীগের প্রধান ও ছাত্রলীগ কুমিল্লা (উঃ) জেলা সভাপতি আবু কাউছার অনিক ও সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
হ্যালো ছাত্রলীগের প্রধান ও ছাত্র লীগ কুমিল্লা (উঃ) জেলা সভাপতি আবু কাউছার অনিক বলেন, হ্যালো ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আজকের এ ভয়াবহ করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এলক্ষে দেবীদ্বার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী রাকিব হাসান’র মাধ্যমে ৪টি ও হ্যালো ছাত্রলীগ টিম’র মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, নিউমার্কেট মুক্তিযুদ্ধ চত্তর ও থানা গেইট এলাকায় ৪টিসহ ৮টি ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’ স্থাপন করা হবে।
এসব বুথগুলো সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পথচারিরা ওই বুথের নির্ধারিত সুইচ টিপলে বেড়িয়ে আসা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করবে এবং যাদের মাক্স নেই তারা অপর সুইচ টিপলে একটি মাক্স বেড়িয়ে আসবে। প্রতিটি বুথের ভেতরে ২০০ মাক্স ও হেন্ড সেনিটাইজার সংরক্ষিত থাকবে। এসব সামগ্রী শেষ হয়ে গেলে আবার নতুন করে বুথগুলোতে সংরক্ষণ করা হবে। আলোচকরা বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকে ৫১ সদস্যের ‘হ্যালো ছাত্রলীগ টিম কুমিল্লা (উঃ) জেলা’ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পাশে থেকে সেবা দান করে আসছে। যখন করোনা রোগীকে ফেলে প্রিয়জনরা পালিয়ে যেত, পিতা তার সন্তানের লাশের পাশে যেতনা, সন্তান তার পিতার লাশের কফিন কাঁধে নিতে সাহস পেতনা, তখন ‘হ্যালো ছাত্রলীগ টিম’ রাত-দিন যখন ডাক পড়েছে তখনই সে দায়িত্বটি পালন করেছে। করোনা রোগীর হাসপাতালে ভর্তি, সেবাদান, তাদের ঔষধ, খাদ্য সরবরাহ, সেনিটাইজার, মাক্স, পিপিই বিতরণ,মৃত: ব্যাক্তিদের হাসপাতাল থেকে গন্তব্যে পৌঁছেদেয়া, গোসল করানো, লাশের কফিন বহন, কবর খোড়া, জানাযা পড়ানো, দাফন সম্পন্ন এমনকি করোনায় আক্রান্ত পরিবারের বাহিরেও অসহায়, দরিদ্র, কর্মহীন পরিবারকে ঔষধ-খাদ্য সহায়তাদান, হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত ব্যাক্তিদের সৎকারে অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করে আসছে।