ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মনোহরগঞ্জে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে সরকারের প্রতি জনসাধারণের কৃতজ্ঞতা
মনোহরগঞ্জ প্রতিনিধি।
Published : Sunday, 4 July, 2021 at 5:21 PM
মনোহরগঞ্জে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে সরকারের প্রতি জনসাধারণের কৃতজ্ঞতাএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরের সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্লোগান নির্ধারণ করা হয় ‘গ্রাম হবে শহর’। এই ইশতেহার বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার প্রত্যন্ত অঞ্চল মনোহরগঞ্জেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। পুরাতন সড়ক সংস্কারের পাশাপাশি ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
ক্রমাগতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাঁকরা গ্রাম থেকে পরানপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ফসলী মাঠের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটির সুফল ভোগ করছেন চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সংযোগ সড়কটি নির্মাণের ফলে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি কৃষি নির্ভর জনগোষ্ঠির কৃষিকাজ সহজলভ্য হয়েছে। যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরকে। গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পর্যায়ক্রমে সড়কটি পাকাকরণের পাশাপাশি অন্যান্য এলাকাতেও নতুন নতুন সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ‘মাননীয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন  ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা এ অঞ্চলের মানুষ যুগের পর যুগ মনে রাখবে। রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট নির্মাণ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শতভাগ ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি জনসাধারণের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে সোলার লাইট। মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মহোদয়ের সুপরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সম্ভাবনাময় আগামীর পথে।’
নতুন সড়ক নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর আগে এটি ছিলো সরু মেঠোপথ। বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাতে হতো জনসাধারণকে। এ সড়কটি তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ফল। বাঁকরা থেকে পরানপুর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে আশপাশের কয়েক গ্রামের যোগাযোগের সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি কৃষকদের কৃষিকাজও সহজ হয়েছে। মুষ্টিমেয় কুচক্রী ব্যক্তি এই সড়ক নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছেন। আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সড়ক নির্মাণ বাস্তবায়ন করেছি।’