বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় একজন করোনা পজিটিভ রোগীসহ ১২ জন মারা গেছেন। এটি হাসপাতালে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এরআগে, ৩০ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়। সোমবার (৫ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বাধিক ২২০ রোগী। মেডিক্যাল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে সব শেষ করোনা শনাক্তের হার ৫৯.৫৭ ভাগ।
এর আগে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে চার জন রোগীর মারা যান।
হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয় থেকে সোমবার পাঠানো এক প্রতিবেদনে জানা যায়, রবিবার হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২১০জন রোগী। গতকাল সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন নতুন ৪৯ জন রোগী। এই সময়ে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ২৭ জন রোগী বাড়ি ফিরেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১২ জন। এরমধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্য ১১ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ২২০জন রোগী। এর মধ্যে ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ এবং অন্যদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। গত বছরের মার্চে করোনা ওয়ার্ড চালুর পর একদিনে সর্বোচ্চ ২২০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে মেডিক্যাল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে করোনা শনাক্তের হার। গত রবিবার রাতে প্রকাশিত সব শেষ রিপোর্টে ১৮৮ জনের মধ্যে করোন শনাক্ত হয়েছে ১১২ জনের। শনাক্তের হার ৫৯.৫৭ ভাগ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৫৯.০৪ ভাগ।
গত বছরের মার্চ মাসে করোনা ওয়ার্ড চালুর পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২১৬ জন পজিটিভসহ মোট ৭৭০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা গেছে।