যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ধসে পড়া একটি বহুতল ভবনের দাঁড়িয়ে থাকা অবশিষ্ট অংশ ক্রান্তীয় ঝড় এলসা আসার আগেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। রোববার রাতে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মায়ামি এলাকার সার্ফসাইড শহরের ১২তলা চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাকি অংশটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভিডিও ফুটেজে ভবনটিকে নিচের দিকে ভেঙে পড়তে ও চারদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডুলি ছড়াতে দেখা গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
পরিকল্পনা মতোই বিস্ফোরণের পর ধ্বংসস্তূপ অল্প জায়গায় সীমিত ছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর জন্য নিকটবর্তী ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ারও প্রয়োজন হয়নি। তাদের শুধু ঘরে অবস্থান করতে ও ধূলার কারণে এসি বন্ধ করে রাখতে বলা হয়েছিল।
এর আগে ভবনটির নিখোঁজ ১২১ বাসিন্দার সন্ধানে চলা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়। ভবন ধসের এ ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
রোববার মায়ামি-ডেইড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা জানিয়েছিলেন, ভবনটির অবশিষ্টাংশ ভেঙে ফেলার পর উদ্ধার কাজ ফের শুরু হবে।
স্থানীয় সময় রোববার বিকালে ক্রান্তীয় ঝড় এলসা ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে কিউবা উপকূলে অবস্থান করছিল। রোববার দিনের পরবর্তী সময় ও সোমবার ঝড়টি কিউবার ওপর দিয়ে বয়ে যাবে আর মঙ্গলবার অথবা বুধবার ফ্লোরিডার পশ্চিমাংশে পৌঁছবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস (৪ জুলাই) উপলক্ষে মায়ামির সাগরতীরের এ এলাকাগুলোতে সাধারণত আতশবাঁজি পোড়ানো হয় ও লোকজন জাতীয় পতাকা দুলিয়ে উৎসবে মাতে। কিন্তু এবার অনুষ্ঠান সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ওই এলাকাগুলোর কর্তৃপক্ষগুলো। স্বাধীনতা দিবসের উৎসব বাতিল করে মায়ামি বিচ।
২৪ জুন প্রথম প্রহরে ৪০ বছরের পুরনো চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্সের বড় একটি অংশ হঠাৎ করে ধসে পড়ে। ভবনটির অধিকাংশ বাসিন্দা তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। কী কারণে ভবনটির ওই অংশটি ধসে পড়েছে তদন্তকারীরা তা এখনও নির্ধারণ করতে পারেননি।