চলমান লকডাউনের কারণে রাজশাহীতে আটকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ঈদে তাদের বাড়ি ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তবে সেই শঙ্কা দূর করে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১৫-১৬ জুলাইয়ের দিকে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জেলায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন তারা।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসে এখানে আটকে পড়েছেন। আবার অনেকেই এখানে পরীক্ষা না থাকলেও পড়াশুনার জন্য এসেছেন। চলমান লকডাউনের কারণে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এই লকডাউন কবে উঠবে তা আমরা বলতে পারছি না। সে কারণে আমরা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জেলায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে তাদেরকে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, আমরা একটু সময় নিয়ে তাদেরকে পৌঁছে দিতে চাই। কারণ তারা যতদিন এখানে থাকছে, এখানে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। বাড়িতে গেলেই তাদের পড়াশুনা কমে যাবে। তাই ঈদের কিছুদিন আগে ১৫-১৬ তারিখের দিকে তাদেরকে পৌঁছে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক আজিজুর রহমান জানান, কোন জেলায় কতজন শিক্ষার্থী যাবে সেই তালিকা আমাদের কাছে নেই। তালিকা সংগ্রহের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি অনলাইন লিংক দিয়েছি। সেই লিংকে শিক্ষার্থীরা তাদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিজ নিজ জেলার নাম সাবমিট করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের এই জেলার তালিকা পাওয়ার পর আমরা বাসের রুট ঠিক করব।
তিনি আরও জানান, কোনও জেলায় ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থী হলে সেই জেলায় আমরা বাস দেওয়ার চেষ্টা করব। সোমবার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের জেলার তালিকা সাবমিট করার লিংক দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের তথ্য সেখানে সাবমিট করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মোকছেদুল হক জানান, ৯ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দেখে আমরা পরবর্তীতে কোন রুটে কতটি বাস পাঠাবো সেই সিদ্ধান্ত নেব। যদি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হয়, তবে একদিনে হয়তো সব রুটে বাস পাঠানো সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে আমরা দুই/তিন দিন সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করব।