করোনা থেকে সেরে ওঠা মানে শরীরের ভেতর একটা যুদ্ধ জয় করা। আর যুদ্ধ মানে তো কিছু না কিছু ধ্বংসস্তূপ থাকবেই। এর মধ্যে বড় একটি সমস্যায় পড়েন অনেকেই। করোনা থেকে সেরে ওঠার পর দেখা যায় রক্তে বেড়ে যাচ্ছে সুগার। শরীরের ওপর চাপ পড়ায় যকৃত থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হওয়াটা বাধাগ্রস্ত হওয়াতেই দেখা দেয় এ সমস্যা। আর এ থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিতে পারেন আয়ুর্বেদিক লাইফস্টাইল।
হলুদ
দুধের সঙ্গে খাঁটি হলুদের গুড়ো খাওয়ার চল আছে অনেক দিনের। এক কাপ গরম দুধে চিমটি পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন নিয়মিত। এতে অন্যসব উপকারের পাশাপাশি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেইসঙ্গে কমে আসবে ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারিডের মাত্রা।
আমলকি
তুলনামূলক কমদামি এ ফলটাকে ওষুধ মনে করে খেলেই ভালো। এতে ভিটামিন সি-এর চাহিদা তো পূরণ হবেই, আয়ুর্বেদের তত্ত্বমতে, ফলটি অ্যান্টি-ডায়াবেটিকও। ইনসুলিনের নিঃসরণে প্যানক্রিয়াটিক কাজে যখন গোলমাল দেখা দেয় তখন কার্বোহাইড্রেটের সহজ বিপাকে ভূমিকা রাখে আমলকিতে থাকা ক্রোমিয়াম। যা ইনসুলিন রেসপন্সকেও করে শক্তিশালী।
সুপ
যে সবজিগুলো ভেজে খাচ্ছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর চেষ্টা করুন সেগুলোর সুপ বানিয়ে খেতে। আর সুপের সঙ্গে সজনে পাতা কিংবা লাউ মেশালেই মিলবে বাড়তি উপকার। এ দুটো সবজি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বন্ধুর মতো কাজ করে। এ ছাড়া এরা রক্তের শর্করা ভাঙতে সাহায্য করে। ইনসুলিন নিঃসরণেও কাজ করে এগুলো।
যাবতীয় মিষ্টান্নকে না বলুন
করোনার পর সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়া মানেই উটকো ঝামেলা। তাই এ সময় জিভে লাগাম দিতেই হবে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত মিষ্টান্ন যেমন কেক, কোমল পানীয়, বেকারি পণ্য এসব পুরোপুরি বাদ দিয়ে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ও ফল খান।
ব্যায়াম ও ইয়োগা
যত যাই খেয়ে থাকুন বা তালিকা তৈরি করুন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর টুকটাক ব্যায়াম করে কিছু ক্যালরি পোড়াতেই হবে। তা না হলে শর্করার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে একটা পর্যায়ে চলে যাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আর মানসিক চাপের সঙ্গেও যেহেতু ডায়াবেটিস জড়িত তাই শুরু করে দিন নানা ধরনের যোগ ব্যায়াম। প্রাণায়াম, ভূজাসন এসব কীভাবে করতে হয় তা জানতে পারবেন ইউটিউবেই।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া