সেই দেশ ছাড়ার আগেই জানা, তাদের দুজনারই ইনজুরি আছে। তামিম ইকবালের হাঁটুতে সমস্যা আর মুশফিকুর রহীমের বাঁ হাতের আঙ্গুলে ব্যথা, চিড়ও আছে।
যে কারণে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে প্রিমিয়ার সুপার লিগ না খেলে বিশ্রামে ছিলেন তামিম। আর মুশফিকও আঙ্গুলের ব্যথায় চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর হয়ে লিগের শেষ দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি।
ওদিকে ইনজুরি নিয়ে জিম্বাবুয়ে গিয়ে দুজনার কেউই নিয়মিত অনুশীলনও করেননি। জিম্বাবুয়ের অবশিষ্ট একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ১৩ জনের বাইরে ছিলেন তামিম ও মুশফিক।
তামিম কাল রোববার শেষ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে আধঘন্টার মত ব্যাটিং করলেও মুশফিক মাঠেই নামেননি। তাই উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের খেলা নিয়ে সংশয়টা আরও প্রবল হয়েছে।
যেহেতু তামিম প্রস্তুতি ম্যাচে আধঘন্টার মত ব্যাটিংয়ে নেমেছেন, দেশে ভক্ত ও সমর্থকরা ধরেই নিয়েছেন- হয়তো তার টেস্ট খেলা নিয়ে সংশয় নেই। সবাই বরং মুশফিককে নিয়েই চিন্তায়।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সর্বত্র বাংলাদেশ সমর্থকদের অনেকেই মুশফিকের সর্বশেষ অবস্থা জানতে উন্মুখ হয়ে আছেন। অবশেষে এলো খবর। খোদ বাংলাদেশ হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর কাছ থেকে পাওয়া খবর।
এ দক্ষিণ আফ্রিকান অবশ্য জানালেন উল্টো কথা। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মুশফিকই নাকি ক্রমেই সেরে উঠছেন। ফলে তার খেলারও সম্ভাবনা আছে। তামিমকে নিয়েই বরং সংশয়।
আজ (সোমবার) বাংলাদেশ সময় পড়ন্ত বিকেলে (জিম্বাবুয়েতে তখন দুপুর) হারারে থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় ডোমিঙ্গো জানালেন, ‘মুশফিক আত্মবিশ্বাসী যে সে খেলার মতো ফিট হয়ে উঠতে পারবে। তার পুনর্বাসন দারুণ হয়েছে। সবকিছু ঠিক পথেই আছে। তার খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তবে তামিম এখনও শতভাগ নিশ্চিত না। তাকে নিয়ে সংশয় আছে। তার ব্যাপারে সামনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
দুজনার কার কি অবস্থা, শেষ পর্যন্ত কে খেলবেন আর কে খেলবেন না। নাকি দুজনই খেলবেন কিংবা খেলবেন না-তা জানা যাবে আগামীকাল মঙ্গলবার। বাংলাদেশের টিম লিডার আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি মুঠোফোনে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ববি কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘আগামীকাল ৬ জুন মঙ্গলবারই পুরো দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখা হবে। তখনই আসলে বোঝা যাবে, কে কে খেলার অবস্থায় আছে।’
এদিকে আজ সোমবারও হারারেতে অনুশীলন করেছে টিম বাংলাদেশ। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কে খেলেন-তামিম না মুশফিক? নাকি দুজনই!