কোপা আমেরিকার এবারের আসরে দারুণ ছন্দে আছে আর্জেন্টিনা। কোনো ম্যাচে হারের মুখ দেখেনি দলটি। পাঁচ ম্যাচে চারটি জয়, একটি ড্র। প্রতিপক্ষের জালে ১০ বল পাঠানোর পাশাপাশি দুটি গোল হজম করেছে আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে লিওনেল মেসির দল।
এমন দুরন্ত জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই সেমির লড়াইয়ে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। বুধবার সকাল ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়েকে হারিয়ে সেমির টিকিট পেয়েছিল কলম্বিয়া। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জয় পায় কলম্বিয়া।
দুই দলের লড়াইয়ের অতীত পরিসংখ্যান অবশ্য আর্জেন্টিনাকেই এগিয়ে রাখছে। ৪০ ম্যাচের ২৩টিতে জিতেছে আর্জেন্টাইনরা, কলম্বিয়ার জয় ৯টি এবং ড্র হয়েছে আটটি ম্যাচ। চলতি বছরের শুরুতে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল ঐ ম্যাচ। তাই বুধবার দুই দলের সেমির লড়াই জমজমাট হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
ম্যাচের আগে আর্জেন্টাইন শিবিরে চিন্তা, কারণ সেন্টার-ব্যাক ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর ইনজুরি। এছাড়া দলের সবাই ফিট আছেন। ইনজুরির ধাক্কা আছে কলম্বিয়া শিবিরেও। দুই মিডফিল্ডার ইয়ারো মোরেনো ও মাতেয়াস ইউরিভের ইনজুরি রয়েছে। ইনজুরির কারণে তাদের খেলা অনিশ্চিত।
আর্জেন্টাইন ভক্তরা অবশ্য আবারও মেসি-জাদু দেখার আশায় ম্যাচ দেখতে বসবেন। টুর্নামেন্ট জুড়ে মেসির ফরম ঈর্ষণীয়। দলের ১০ গোলের আটটিতেই সরাসরি জড়িত এ খুদে-জাদুকর। চারটি গোল নিজে করেছেন, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন চারটি। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে ম্যাচসেরা আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেমিতে কলম্বিয়ার বিপক্ষেও তার পায়ের জাদু দেখতেই মুখিয়ে থাকবে দলটি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৭৬ গোল করেছেন মেসি। যার মধ্যে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছেন ১০টি ম্যাচ। দলটির সঙ্গে মেসির গোল তিনটি। ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে গোলগুলো করেছিলেন তিনি।
২০১৬ সালের পর আবারও কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠার হাতছানি আর্জেন্টিনার সামনে। কলম্বিয়া শেষবার ফাইনাল খেলেছিল ২০০১ সালে, সেবারই ট্রফি জিতেছিল দেশটি। ১৪বার কোপা আমেরিকা জেতা আর্জেন্টিনা আবারও মুখিয়ে আছে ফাইনালের মঞ্চে যেতে। যার আগে সেমিতে কলম্বিয়ার বাধা টপকাতে হবে তাদের। বরাবরের মতোই সময়ের সেরা ফুটবলার মেসিই দলটির বড় ভরসা।