Published : Tuesday, 6 July, 2021 at 12:00 AM,  Update: 06.07.2021 1:12:20 AM
				
				
			 
			                                                        
কাজী
 সাইমুল হক: সর্বাত্মক লকডাউনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নেই গণপরিবহন। জেলা 
শহর থেকে ছড়ে যাচ্ছে না কোন বাস। পুলিশী চেকপোস্টে বন্ধ মাইক্রোবাস ও 
লেগুণা চলাচল। এই সুযোগে ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোই এখন মহাসড়কে দূরপাল্লার 
যান। মহাসড়কের পাশর্^বর্তী এলাকাগুলো থেকে চিকিৎসাসহ নানান জরুরী কাজে আসা 
যাওয়ার জন্য এখন রিকশাই একমাত্র ভরসা। অন্যান্য যাত্রীবাহী ভারী যানবাহন না
 থাকায় মহাসড়কেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। পন্যবাহী ট্রাক লরি কাভার্ডভ্যানের 
সাথে পাল্লা দিয়েই ছুটে চলছেন তারা। কুমিল্লার পদুযার বাজার, 
ক্যান্টনমেন্ট, কাবিলা, নিমসার, চান্দিনাসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে এসব রিকশা।
 তুলনামূলক বেশি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে রিকশাগুলো। 
ঢাকা-চট্টগ্রাম 
মহাসড়কের ক্যান্টনমেন্ট থেকে কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগামী 
হোসনেয়ারা বেগম ও তার স্বামী আলা উদ্দিন জানান, ছোট ছোট যানবাহনগুলো নেই। 
যে কারনে এখন রিকশাই ভরসা। ভাড়া একটু বেশি হলেও ডাক্তারের কাছে তো যেতেই 
হবে। কিছু করার নেই। 
রিকশা চালক আরিফ জানান, ব্যাটারির চার্জ বেশিক্ষণ 
থাকে না। যতদূর যাওয়া যায়, যাচ্ছি। শহরে মানুষ কম ভাড়াও কম তাই হাইওয়েতে 
চলে এসেছি। 
এদিকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্য করা 
ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে কুমিল্লা জেলা 
প্রশাসন। লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার (৫ জুলাই) কুমিল্লা নগর, মহানগর এবং ১৭
 উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ৪০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা
 করে ২৭৬টি মামলা দায়ের করেছেন। বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২৭৭ ব্যক্তিকে 
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 
কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার 
বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়। 
সোমবার
 কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কঠোর লকডাউনের পশ্চম দিন সোমবার 
কুমিল্লা জেলা শহরসহ ১৭ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ৪০টি
 মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। অভিযান পরিচালনায় এসময় সেনাবাহিনীর ১২, 
পুলিশের ৫২, আনসার ৬, বিজিবি ৩ এবং র্যাবের ২ এবং গ্রাম পুলিশ ও স্কাউটের 
১৪৭টি টিম কাজ করেছে।