কুমিল্লায় লকডাউনেও বাড়ছে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লায় ২৪২ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের সংখ্যা এই যাবৎকালে সর্বোচ্চ। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। এদিকে দৈনিক শনাক্তের হার বেড়ে সোমবার ৪২.১ শতাংশে পৌঁছেছে। ভয়াবহ আকারে ধারণ করা এই করোনা প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। মানুষের মাঝে স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করে মাঠে কাজ কারছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সাথে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার (৫ জুলাই) কুমিল্লা নগর, মহানগর এবং ১৭ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ৪০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৭৬টি মামলা দায়ের করেছেন। বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২৭৭ ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়। সোমবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কঠোর লকডাউনের পশ্চম দিন সোমবার কুমিল্লা জেলা শহরসহ ১৭ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ৪০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। অভিযান পরিচালনায় এসময় সেনাবাহিনীর ১২, পুলিশের ৫২, আনসার ৬, বিজিবি ৩ এবং র্যাবের ২ এবং গ্রাম পুলিশ ও স্কাউটের ১৪৭টি টিম কাজ করেছে।
স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব এবং বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ৪০টি মোবাইল কোর্টে ২৭৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৭৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ টাকা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা যায়, ৪০টি মোবাইল কোর্ট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্বে ৭টি। এছাড়া আদর্শ সদর, বুড়িচং, চান্দিনা, দাউদকান্দি, মেঘনা, তিতাস, হোমনা, দেবিদ্বার, ব্রাহ্মণপাড়া, বরুড়া, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম, মনোহরগঞ্জ ও লালমাইয়ে দুইটি করে, সদর দক্ষিণে একটি ও লাকসামে তিনটি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সোমবার ৪০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা ছাড়াও জেলা প্রশাসন ১১৮৬ গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছেন। করোনা প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া যে কোন নির্দেশনা পালনে বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।