রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বাধীনতাত্তোর ও পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে রাবি।
প্রতিবছর দিনটিকে জমকালো আয়োজনে উদযাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে গত বছরের মতো এবারও করোনা মহামারির কারণে সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় পতাকা উত্তোলন, বেলা সাড়ে ১১টায় বৃক্ষরোপণ এবং দুপর ১২টায় আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যালামনাইসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।
শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, বিগত প্রায় সাত দশক ধরে দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এর স্নাতকরা দেশ-বিদেশে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য ও উৎকর্ষের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। আগামী দিনগুলোতেও সে ধারা অক্ষুণ্ন থাকবে বলে আমি আশা রাখি।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী প্রশাসন ভবন এবং শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
১৯৫৩ সালের এই দিনে মাত্র ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা করলেও সময়ের সঙ্গে কলেবর বেড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যারয়ের। বর্তমানে ৭৫৩ একরের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৮ হাজার। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রায় ১২০০ শিক্ষক ও দুই হাজার প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এছাড়া বর্তমানে ১২ অনুষদের অধীনে বিভাগ রয়েছে ৫৯টি। ১২টি একাডেমিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল রয়েছে মোট ১১টি এবং ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ছয়টি। গবেষক ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক ডরমেটরি।