প্লেব্যাক সম্রাট বলা হয় এন্ড্রু কিশোরকে। চলচ্চিত্রের রাজপটে সুর ছড়ানো এ গায়ক গত বছরের এই দিনে (৬ জুলাই) না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
চলচ্চিত্র বা অ্যালবাম নয়, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তেও নিয়মিত পাওয়া যেত এন্ড্রু কিশোরের দরাজ গলার গান। কাজের সূত্রে অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক-পরিকল্পক-পরিচালক হানিফ সংকেত ছিলেন তার বন্ধু।
আজ এই প্রয়াণ দিবসে বন্ধুকে ভোলেননি এই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করেছেন স্মৃতিচারণ।
তিনি লেখেন, ‘দেখতে দেখতে একটি বছর হয়ে গেলো কিশোর নেই। বিশ্বাস করতে মন চায় না, অথচ এটাই সত্যি। এন্ড্রু কিশোর-বাংলা গানের ঐশ্বর্য। যার খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতি ছিলো বেশি। যার কাছে গানই ছিলো জীবন-মরণ, গানই ছিলো প্রাণ। এই গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি। গানের জন্যই মানুষ তাকে ভালোবাসতো। অবশেষে মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত বছরের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারতো, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারতো। সবসময় নিজের সুবিধার চাইতে অন্যের সুবিধার দিকেই দৃষ্টি ছিলো তার বেশি। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। একসঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, বহুবার বিদেশে গেছি, একসঙ্গে থেকেছি। কিশোর ছিলো ইত্যাদি’র প্রায় নিয়মিত সংগীতশিল্পী। কিশোর নেই মনে হলেই ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে। এন্ড্রু কিশোর ছিলো একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই। কিশোর তার গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বন্ধু যেখানে থাকো ভালো থেকো। শান্তিতে থেকো।’