বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট গোলাম ফারুক ||
ইতিহাসের
কিছু নিষ্ঠুর আচরণ আছে। ইতিহাস কোন সময় গুরুত্বহীন অহেতুক মানুষকে ইতিহাসে
স্থান করে দেয় আবার কোন সময় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আমলেই নেয় না। এই
প্রেতিটাই বেশি সময় ঘটে ইতিহাসের ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহে। যে সকল ব্যক্তি
ঘটনার সম্মুখে থাকে না অথচ ঘটনা ঘটানোর নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে ঘটে
যাওয়া ঘটনার অন্তরালে থেকে। এরা ইতিহাসের অন্তরালেই থেকে যায়। এমন একটি
পরিবার হলো নোয়াখালীর সন্তান আব্দুর রৌফ সাহেব ও তার সন্তানেরা। রৌফ
সাহেবের চার সন্তান। দুইজন কন্যা ও দুইজন পুত্র সন্তান। এদেরই একজন হলো
মাহবুব জামান মিন্টু। রব সাহেবের পরিবার কোন জমিদার পরিবারের উত্তরাধিকারী
নন। এই পরিবারটির আদি বাস ফেনী জেলায়। রৌফ সাহেবের পরিবারের রয়েছে এক
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ইতিহাস। আমার সৌভাগ্য হয়েছে রৌফ সাহেবের গ্রামের বাড়ি
যাওয়ার। অবস্থাসম্পন্ন এই পরিবারের গ্রামের বাড়িতেও দালান কোঠা রয়েছে এবং
বুনিবাদিপনার ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার।
রৌফ সাহেব তৎকালীন পূর্ববঙ্গে
লেখাপড়া করে চলে যান পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে লেখাপড়া করাকালে জাতির জনক
বঙ্গবন্ধুর সাথে গড়ে ওঠে সখ্যতা। লেখপড়া শেষ করে তিনি পশ্চিমবঙ্গে কোলকাতায়
চাকরি করে ভারত ভাগ হলে চলে আসেন পূর্বপাকিস্তানে। ব্রিটিশ বিরোধী
আন্দোলনে বামধারার রাজনীতির সাথে তার ঘনিষ্টতা ছিলো। ভারত ভাগ ও
পাকিস্তানের ভাষাআন্দোলন থেকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক
আন্দোলনের নেপথ্যের আন্দোলনে তার ঘনিষ্ঠতা ছিলো। আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, আতাউর
রহমান খান, অধ্যাপক মুজাফফর আহাম্মেদ, কমরেড মণি শিং, তাজ উদ্দিন আহাম্মেদ,
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, শহীদুল্লাহ কায়সার সবার সাথেই তার ঘনিষ্টতা
ছিল। ষাট দশকের আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের সময়কালে
জাতীয় নেতৃবৃন্দের অনেক গোপন বৈঠক হয়েছে রৌফ সাহেবের ঢাকার বাসায়, যেসমস্ত
বৈঠকে বঙ্গবন্ধুও উপস্থিত থাকতেন।
সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের
নিকট তিনি ছিলেন মর্যাদার আসনে। সদ্য স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু যখন বড় বড়
শিল্প কারখানা জাতীয়করণের কর্মসূচি হাতে নিলেন তখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও
কিছু দুর্নীতিবাজ এ কর্মসূচিকে ব্যর্থ করতে লেগে গেলেন। রৌফ সাহেব
পাকিস্তান আমলেই কুমিল্লায় বসবাস শুরু করেন। স্বাধীনতার পর জাতীয়করণকৃত
মিলসমূহ দুর্নীতির প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হতে থাকলে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ইঞগঈ
কে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য রৌফ সাহেবকে বললেন ‘রৌফ ভাই, আমার ইঞগঈ কে
বাঁচান’। যেই কথা সেই কাজ। বঙ্গবন্ধু রৌফ সাহেবকে ইঞগঈ এর পরিচালক নিযুক্ত
করে দিলেন। রৌফ সাহেব প্রাণপনে বঙ্গবন্ধুর কথা রাখার চেষ্টা করেছেন।
এই
রৌফ সাহেবেরই জ্যেষ্ঠ পুত্র হলেন মাহবুব হাসান মিন্টু। জন্মের পর থেকেই
প্রগতিশীল আবহে বেড়ে উঠেছেন। তারই বড় বোন শম্পা নাসরিন। রৌফ সাহেবের আরো এক
বন্ধু শাহজাহান খন্দকার। তিনি ছিলেন হালিমা টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপক। ওনার
স্ত্রী ফরিদা বিদ্যায়তন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি জহিরুল কাইয়ুমের
অনুরোধে ফরিদা বিদ্যায়তনের প্রধান শিকিার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রগতিশীল এই
দুই পরিবারের সাথে ছিল রাজনৈতিক ও পারিবারিক ঘনিষ্টতা।
ষাটের দশকে
কুমিল্লার ছাত্র রাজনীতিতে ছিল দাপুটে অবস্থান। বাম ধারার ছাত্ররাজনীতিতে
এই দুই পরিবারের ছিল অসামান্য অবদান। ছাত্র রাজনীতির চারণভূমি ছিল কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়া কলেজ। ভিক্টোরিয়া কলেজ কেবিনেট যার দখলে থাকবে, কুমিল্লার
ছাত্র রাজনীতিতে থাকবে তার প্রাধান্য। দুই প্রতিদ্বন্দী ছাত্রসংগঠন
জাতীতাবাদের আদর্শে উজ্জিবিত ছাত্রলীগ আর বাম ধারার আন্তর্জাতিকতাবাদে
বিশ্বাসী ছাত্র ইউনিয়ন। ছাত্র রাজনীতিতে দাপুটে এ ছাত্র সংগঠনটি ১৯৬২ থেকে
১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের অধীনে থাকা কলেজ কেবিনেট ছিনিয়ে নিয়ে ১৯৬৬
থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত কতৃত্ব করেছে কুমিল্লার ছাত্র রাজনীতিতে। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১
পর্যন্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কেবিনেট ছিল অবিভক্ত ছাত্রলীগের অধীন,
পরের ইতিহাস ভিন্ন।
আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হই ১৯৬৮ সনে।
তখন কুমিল্লার ছাত্ররাজনীতিতে বামধারার ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের জয়
জয়াকার। ১৯৬৭ সনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন মাহবুব জামান মিন্টু।
সেই সময় থেকে ওনার সাথে আমার পরিচয় ঘটে। একটি লনীয় বিষয় হলো মিন্টু তার
বাবা আব্দুর রৌফের মতোই হেঁটেছেন রাজনীতির নিভৃতচারী পথিক হয়ে। ওনার বোন
শম্পা নাসরিনও ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ওতপ্রোত ভাবে ১৯৬৮ -৬৯
কেবিনেট ওমর ফারুক, ভি. পি. মাসুদুর রহমান জি. এস. ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র
সংসদে বিপুল ভোটে ১৮ টি আসনের মধ্যে ১৬ টি আসনে জয়লাভ করে। আমি ছিলাম সেই
কেবিনেটের সাহিত্য ও বিতর্ক সম্পাদক, গীতিকার ফেরদৌস হোসেন ভূঁইয়া সমাজসেবা
সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক মোস্তফা আহাম্মদ হেলাল (ব্যংকার), বহিক্রিড়া
সম্পাদক প্রিয়লাল ঘোষ (শহীদ), আন্ত ক্রীড়া সম্পাদক সত্যব্রত সাহা চন্দন
(সাহা মেডিকেল হলের), মহিলা মিলনায়তন সম্পাদিকা রোকেয়া বেগম লাকী, (একুশে
পদক প্রাপ্ত নাট্যশিল্পী)- উএঝ ছিলেন নাসরুল হাসান সাটু। ১৯৬৭ থেকে মহান
মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে মাহবুব জামান মিন্টু অংশগ্রহণ
করেছেন।
আমি আগেই বলেছি রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে সেলিনা বানু ও রৌফ
সাহেবের পরিবারের সাথে ঘনিষ্টতা ছিল। সে ঘনিষ্টতা ও রাজনৈতিক কর্মকা-ের
আবহে সেলিনা বানুর কনিষ্ট কন্যা সারা বানু সূচির সাথে মাহবুব জামান মিন্টুর
ঘনিষ্টতা, প্রেম ও পরবর্তিতে বিয়ে। মাহবুব জামান মিন্টুর পিতা রৌফ সাহেব
ছিলেন সততা ও নিষ্ঠার মূর্ত প্রতিক। ভোগবাদী দুনিয়া তাকে স্পর্শ করতে
পারেনি। গ্রামের বাড়ি ছাড়া বাংলাদেশের কোন শহরেই ওনার কোন বাড়িঘর নেই।
পিতার
আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাহবুব জামান মিন্টু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া সমাপ্ত
করে ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানিতে যোগদান করেন। তিনি আরো কর্পোরেট অফিসে
উচ্চ পদস্থ পদে চাকরি করেছেন। একটি কথা উল্লেখ্য যে আমার প্রতিবেশী কিরিট
বিক্রম সিংহ ছিল তার ঘনিষ্ট বন্ধু। সেই সুবাদে সিংহ বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল
তার প্রতিনিয়ত। একটি ঘটনা উল্লেখ করতে হয়, ১৯৭১ সনের ২৫ শে মার্চ রাতে আমরা
রাজনৈতিক কর্মীরা কুমিল্লা শহরে যেন পাক আর্মি প্রবেশ করতে না পারে তার
জন্য বেরিকেড তৈরি করছিলাম। এরই মধ্যে রাত ১০.৩০ মি. পর পাক আর্মি প্রচ-
গোলাগুলি শুরু করে টমসনব্রিজ দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। আমরা নিরাপদে চলে যাই।
সেই রাতে আমি ও ওমর ফারুক ভাই মিটিং সেরে অধিক রাতে মাহবুব জামান মিন্টু
ভাইদের বাসায় আশ্রয় নেই এবং রাত্রি যাপন করি। পরের দিন ২৬ শে মার্চ আমি ও
ওমর ফারুক ভাই পাক আর্মির পাহারা ভেদ করে শহর ছেড়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা
হই এবং ভারতের সোনামুড়ায় উপস্থিত হই।
আমি প্রথম ব্যাচে ন্যাপ ছাত্র
ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট পার্টির যৌথ গেরিলা বাহিনীর কমান্ডে আসামের তেজপুরে
ট্রেনিং গ্রহণ করি। ফারুক ভাই দ্বিতীয় এবং মাহবুব জামান মিন্টু তৃতীয়
ব্যাচে ট্রেনিং এ যায়। আবার মাহবুব জামান মিন্টুর সাথে সাাৎ হয় স্বাধীন
বাংলাদেশে। স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার ফর্ম পুরণে ঘটলো বিপত্তি।
মিন্টুর পরিবারের কুমিল্লার ঠিকানা লিখে দিলেন সিংহ বাড়ি (শান্তি কুটির),
পশ্চিম তালপুকুর পাড়। মাহবুব জামান মিন্টু আজও ঐ একই ঠিকানায় বাংলাদেশ
সরকারের গ্যাজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের ঙহষরহব সম্মানী ভাতা
শুরু হলে সরকারি দপ্তরের ত্রুটির কারণে ওনার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। তাই তিনি
প্রায়ই ফোন করতেন এই জটিলতা নিরসণের জন্য। সর্বশেষ জটিলতা শেষ হলেও তিনি মে
মাসের ভাতা পেয়েছেন, কিন্তু ৪ মাসের বকেয়া ভাতা না পেয়েই তাকে মৃত্যুবরণ
করতে হল।
মাহবুব জামান মিন্টু আমাদের ৩য় ব্যাচের তেজপুরের ট্রেনিং নেয়া
গেরিলা। একটি বিষয়ের অবতারণা করতে হয়। অবিভক্ত বাংলায় কুমিল্লার যে কয়জন
রাজনৈতিক নেতা ছিলেন তার মধ্যে কুমিল্লা সদর দেিণর কেশনপাড় গ্রামের সন্তান
মোহাম্মদ অছিম উদ্দিন সাহেব বেঙ্গল আইনসভার নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। ওনার
নির্বাচনী প্রচারণায় নেতাজি সুভাদ বসু অংশগ্রহণ করেছিলেন বরুড়ার নির্বাচনের
জনসভায় ওনার সুযোগ্য সন্তান সামছুদ্দিন সাহেব বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী
পার্টির নেতা ছিলেন। জীবদ্দশায় ওনার সামছুদ্দিন সাহেবের সাথে চলা ফেরা ছিল।
তিনি আবার ১৯৩২ সনের স্বাধীন হাসনাবাদ কৃষক আন্দোলনেরও নেতা ছিলেন, যে
আন্দোলনের মূল নেতা ছিলেন বরুড়া গালীমপুরের কমরেড ইয়াকুব (বড় মিয়া)।
সামছুদ্দিন সাহেবের ভ্রাতুষ্পুত্র আওয়ামী লীগ বরুড়া থানার সাধারণ সম্পাদক
লিংকন হচ্ছে দৌহিত্র এবং লিংকনের মামাতো বোন নাহার আপা আমাদের সময় ছাত্র
ইউনিয়নের নেত্রী ছিলেন। লিংকনের বোন নিলুফা আক্তার ভিক্টোরিয়া কলেজে
অধ্যাপনা করেন, লিংকনের পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন শহীদ।
এ পরিবার
থেকে অনুরোধ আসলো আমি যেন অছিমদ্দিন সাহেবের উপর একটি বই লিখে দেই। আমি
সানন্দে রাজি হয়ে বই লেখার কাজে নেমে পরলাম। অছিম উদ্দিন সাহেবের জীবনী
লিখতে গিয়ে জানলাম ওনার বরুরার বাড়িটি ওনার স্ত্রীর প থেকে পাওয়া আর ওনার
পৈত্রিক নিবাস হল কেশনপাড়। এর থেকে জানা গেলে লালমাই রেলষ্টেশন স্থাপনের
ইতিহাস। বর্তমান রেলস্টেশনের বর্তমান স্থানে এসে প্রতিদিন ঢাকা ও
চট্টগ্রামগামী ট্রেন কিছুণের জন্য থামতো। এম.এল. এ. সাহেব ট্রেনে যাবেন
কিনা এ বিষয়টি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে এখানে একটি রেলস্টেশন
করে দেয়া হয় যা বর্তমান লালমাই রেলওয়ে স্টেশন। স্থানীয় ভাবে কোন সূত্র
থেকেই অছিমদ্দিন সাহেবের কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছিলো না। স্বরনাপন্ন হলাম
মাহবুব জামান মিন্টু ভাইয়ের কাছে কারণ কোলকাতা রাজ্যসভার লাইব্রেরিতে এ
সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করতে পারে প্রাক্তন
রাষ্ট্রপতি আবু সাইদ চৌধুরীর ছেলে প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল
হাসান চৌধুরী। মাহবুব জামান মিন্টু ও আবুল হাসান বাল্যবন্ধু। কথা ছিল আবুল
হাসানসহ আমাকে কোলকাতা নিয়ে গিয়ে এব্যাপারে সাহায্য করবেন। পরবর্তীতে
কোভিডের কারনে পরিকল্পনা থেমে যায়। জানিনা এখন কি হবে।
মাহবুব জামান
মিন্টু পারিবারিক শিায় ন্যায়বোধ সম্পন্ন অতি উন্নত নৈতিক মানের একজন
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কখনো কারো প্রতি হিংসা বা দোষারোপের ব্যাপারে
মাথা ঘামাতেন না। এইরূপ নৈতিক মানসম্পন্ন সুজন আজ সমাজে বিরল।
মাহবুব
জামানরা দুই ভাই, দুই বোন। বড় এক বোন রেখা আপা আমেরিকায় স্থায়ী। শম্পা আপার
স্বামী আজহার সাহেব বাংলাদেশ ওয়াসার চেয়ারম্যান ছিলেন। অতি সম্প্রতি
প্রয়াত হয়েছেন। ছোট ভাই কানাডায় স্থায়ী হয়েছেন। পেশায় প্রকৌশলী। মাহবুব
জামান মিন্টুর এক ছেলে কানাডায় বসত গড়েছেন, পেশায় প্রকৌশলী একমাত্র কন্যা
ঢাকায় মা বাবার সাথে ছিলেন। স্ত্রী সারা বানু সূচি পেশায় ডাক্তার। তিনি
ডাক্তারী শিা নিয়েছেন সৌভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। আমরা এক উচ্চ নৈতিকমান সম্পন্ন
মুক্তিযোদ্ধাকে হারালাম।