Published : Friday, 9 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 09.07.2021 12:58:46 AM
তানভীর দিপু:
কুমিল্লায়
গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৭ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে আরো ৪২৮ জন
পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। এনিয়ে জেলায়
মোট করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হলেন ১৬ হাজার ৩৮৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন
১২ হাজার ১৮০ জন। সর্বশেষ ৬ জনের মৃত্যুসহ জেলায় মোট করোনায় প্রাণহানির
সংখ্যা ৫১৩। মৃত্যুবরনকারীদের ৩ জন তিতাস উপজেলার এবং লাকসাম, দেবিদ্বার ও
তিতাসের একজন করে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭১ জন কুমিল্লা সিটি
কর্পোরেশন এলাকার। সবশেষ সিটি কর্পোরেশনের ২৯ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন।
এপর্যন্ত ৯০ হাজার ৮৭০টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ৮৯ হাজার ১২৯টির রিপোর্ট
পাওয়া গেছে।
এদিকে গতকালও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনা
আক্রান্তরা আসছেন চিকিৎসা নিতে। অনেকেই আসছেন উপসর্গ নিয়ে, পরবর্তীতে যাদের
পরীক্ষা করে পজেটিভ কিংবা নেগেটিভ শনাক্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে কুমিল্লার
সরকারি করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে বাড়ানো হয়েছে শয্যা। মেডিকেল কলেজ
করোনা ইউনিটে বাড়ানো হয়েছে আরো ৫০ শয্যা এবং সদর হাসপাতালে বাড়ানো হয়েছে ৩০
শয্যা। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কম ঝুঁকিপূর্ন রোগীদের
চিকিৎসার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন
মীর মোবারক হোসাইন।
সিভিল সার্জন জানান, করোনা আক্রান্ত কিংবা উপসর্গ
নিয়ে যদি সবাই শহরের হাসপাতালে গুলোতে ছুটে তাহলে গোটা কয়েক হাসপাতালে চাপ
বাড়বে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আগে থেকেই অন্তত ১০ শয্যা বিশিষ্ট
করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। যেসব রোগীদের অক্সিজেনের পরিমান কম লাগবে
তাদেরকে স্ব স্ব উপজেলাতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।
এদিকে
সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হচ্ছে। তবে লকডাউন
অমান্য করে গতকালও কুমিল্লা নগরীসহ-উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গেছে
মানুষের স্বাভাবিক চলাচল। প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে দোকানপাটে কেনাকাটা
থেকে শুরু করে রাস্তায় স্বাভাবিক দিনের মত যানবাহন চলাচল করতেও দেখা গেছে।
এদিকে লকডাউন মানাতে গতকালও কুমিল্লা জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্ট
পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। মোবাইল কোর্টে ১৭৫ টি মামলায় দন্ডিত করা হয় ১৭৫
জনকে। ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় হয়।
একই সাথে করোনাকালীন
সহযোগিতা হিসেবে জেলাপ্রশাসন বিভিন্ন উপজেলায় ত্রান বিতরন করে আসছে। গতকাল
জেলায় ৬ হাজার ৪৬৪ জনকে ত্রান বিতরন করে বলে জানিয়েছে জেলাপ্রশাসন।