করোনা সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলছে কঠোর লকডাউন, এঅবস্থায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার, তারই প্রেক্ষিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায়ও দোকানপাট বন্ধ রাখছে ক্ষুদ্রও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। রাতে এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় রয়েছে একদল শক্তিশালী নৈশ প্রহরী। এরই মধ্যে গত রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাত রাতে) উপজেলার নিউমার্কেট ফুটপাতের চারটি জুতার দোকানে চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় বাজার কমিটি নৈশ প্রহরীদের দায়িত্ব অবহেলার জন্য দায়ি করলেও চুরি যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়িদের ডেকে নিয়ে নৈশপ্রহরীদের মুখোমুখী করেন বাজার কমিটির কিছু লোকজন। দায়িত্বহীনতার জন্য ভভিষ্যতে এধরনের ঘটনা আর না ঘটার শর্তে ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়িদের কাছে নৈশ প্রহরীদের সাথে ক্ষমা প্রার্থনায় রফাদফা হয়। ব্যবসায়িদের এ বিষয়ে থানা পুলিশ না করতেও বারন করা হয়।
শুক্রবার সকালে পার্শ্ববর্তী দোকানদারের ফোন পেয়ে দরিদ্র দোকান মালিকরা ছুটে এসে দোকানের এলোমেলো অবস্থা দেখতে পান।
দোকান মালিক মোঃ দুলাল মিয়া জানান, ফুটপাতে জুতা বিক্রি করে ৭ জনের সংসার চলে আমার, এই দোকানই আমার চলার সম্বল। গত শুক্রবার দোকানে এসেছিলাম, দোকান খুললে জেল-জরিমানা করবে বলেছেন এসিলেন্ড স্যার, সেই ভয়ে আর দোকান খুলিনি। লকডাউনে খেয়ে না খেয়ে চলতে হচ্ছে, তবুও সরকারি আইন মেনে বাড়িতে ছিলাম। ঈদ উপলক্ষে কিছু মাল এনে রেখেছিলাম। এখন আমার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা। গত রমজানের ঈদে লকডাউনের জন্য দোকানে মালামাল আনতে পারিনি, তাই এবার আগে থেকেই কিস্তি নিয়ে মালামাল কিনে বেচাবিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, হঠাৎ কঠোর লকডাউনের কারণে দোকান খুলতে পারিনি, প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামাল সব চুরি করে আমাকে পথে বসিয়ে দিয়ে গেল।
এখানকার আরেক ব্যবসায়ী, আবুল কালাম বলেন, অল্প টাকা পুঁজি নিয়ে আমরা ফুটপাতে ব্যবসা করি, আমার দোকান থেকে ৭/৮হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
ব্যবসায়ী মোঃ হানিফ বলেন, বাজারে পাহারাদার থাকার পরেও কি করে চুরি হয় বুঝতে পারি না, আমার ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার জুতা চুরি হয়েছে। জায়গাটা অন্ধকার, সামনে লাইট থাকলে হয়তো এভাবে চুরি করতে পারত না।
এ র্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, নিউমার্কেট দোকান চুরির ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে কেউ মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করেনি।