হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনিল মোইসিকে হত্যার ‘প্রধান সন্দেহভাজন’ খুনিকে গ্রেফতারের দাবি করেছে দেশটির পুলিশ।
সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি হচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ান ইমানুয়েল শ্যানন। পেশায় তিনি চিকিৎসক।
পুলিশের ধারণা, প্রেসিডেন্টের ‘প্রধান সন্দেহভাজন খুনি’ ৬৩ বছর বয়সী এই চিকিৎসক।
জুনের শুরুর দিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ নিয়ে একটি প্রাইভেট জেটে করে শ্যানন দেশে আসেন।
রোববার এক দেশটির রাজধানীতে ব্রিফিংয়ে পুলিশপ্রধান লিওন চার্লস জানান, ওই ব্যক্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রাইভেট জেটে করে হাইতিতে এসেছিলেন। প্রথমে তাদের পরিকল্পনা ছিল প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করা। কিন্তু ‘পরে পরিকল্পনা বদলে যায়’। ওই ব্যক্তি আরও দুই জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যাদেরও আমরা প্রেসিডেন্ট হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে ধারণা করছি।
৭ জুলাই নিজ বাড়িতে ক্যারিরীয় অঞ্চলের দেশ হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গুলিতে ফার্স্টলেডি গুরুতর আহত হন।
ফার্স্টলেডি বলেন, ‘চোখের পলকে ঘাতকেরা আমার ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর বুলেট দিয়ে তারা আমার স্বামীর বুক ঝাঁঝরা করে ফেলে। তাকে একটা কথা বলারও সুযোগ দেয়নি।’
এর আগে পুলিশ জানায়, প্রেসিডেন্টকে হত্যায় অন্তত ২৮ জন জড়িত ছিল। এর মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ান এবং দুজন হাইতির বংশোদ্ভূত আমেরিকান।
পুলিশপ্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা ১৫ কলম্বিয়ান এবং দুই আমেরিকানকে গ্রেফতার করেছি। তিন কলম্বিয়ান নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আটজন পলাতক রয়েছে।
এর আগে বুধবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হাইতির প্রেসিডেন্টের সন্দেহভাজন চার খুনিকে হত্যার কথা জানানো হয়েছিল। তবে চার্লস এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
প্রেসিডেন্টকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশপ্রধান।
উত্তর আমেরিকার একটি দরিদ্রতম দেশ হাইতি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটিতে পরিবর্তনের ঘোষণা দেন জোভেনেল মোইসি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ‘বিদেশি গ্রুপের’ সহায়তায় একটি কমান্ডো গ্রুপ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
৫৩ বছর বয়সি জোভেনেল মোইসি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে হাইতির প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।