৩৯৬ বছরের পুরনো নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে এবারই প্রথম নারীর সংখ্যাধিক্য ঘটছে। এজন্য নারী কাউন্সিলম্যানরা মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নারী স্পিকার অধিষ্ঠিত করার সংকল্প ব্যক্ত করেন।
আগামী ২ নভেম্বরের নির্বাচনের পর নতুন বছরের শুরুতেই নতুন কাউন্সিলম্যানরা দায়িত্ব নেবেন। সে সময়েই সিটি কাউন্সিলের স্পিকার নির্বাচিত করা হবে। ২২ জুন অনুষ্ঠিত ডেমক্র্যাটিক পার্টির কাউন্সিলম্যান প্রার্থীগণের নির্বাচনে যারা জয়ী হয়েছেন তারাই মূলত ২ নভেম্বরের চূড়ান্ত নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। কারণ, নিউইয়র্ক সিটির ভোটারের সিংহভাগ হলেন ডেমক্র্যাট। আর এ হিসাব অনুযায়ী ৫১ সদস্যের সিটি কাউন্সিলে নারী কাউন্সিলম্যানের সংখ্যা হবে ২৯। বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এবং জাতিসংঘের শহর হিসেবে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে এবারই প্রথম নারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছেন। এটি ঐতিহাসিক একটি অধ্যায় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন।
সিটি হল পার্কে চমৎকার আবহাওয়ায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল নারী স্পিকার নির্বাচিত করা এবং প্রার্থীর বাছাইয়ের পরিক্রমা। এ সময় উল্লেখ করা হয়, নতুন কাউন্সিল এবং সিটি মেয়রসহ শীর্ষস্থানীয় ৪টি আসনের ৩টিতেই হবেন পুরুষ। এরা হলেন সিটি মেয়র, কম্পট্রোলার, পাবলিক এডভোকেট। সিটি কাউন্সিলের স্পিকার পদটি তাই নারীর দখলে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না-মন্তব্য অধিকাংশেরই। সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৪০ থেকে বিজয়ী কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান রিতা যোসেফের নাম উচ্চারণ করছেন স্পিকার হিসেবে। তাহলে সেটিও হবে ইতিহাসের নব অধ্যায়।
সিটি মেয়র হিসেবে বিজয়ের পথে থাকা এরিক এডামসও আফ্রিকান আমেরিকান। কুইন্সের বরো প্রেসিডেন্টও কৃষ্ণাঙ্গ। অর্থাৎ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের সুফল হিসেবে আফ্রিকান-আমেরিকানদের জয়-জয়কার অবস্থা বিভিন্ন নির্বাচনে। এ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত শাহানা হানিফও ছিলেন সরব।