ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
তালেবানের ‘মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়ে যা বললেন আশরাফ ঘানি
Published : Wednesday, 14 July, 2021 at 12:33 PM
তালেবানের ‘মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়ে যা বললেন আশরাফ ঘানিআফগানিস্তানের উত্তর অংশে তালেবানের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ তুঙ্গে। একের পর এক এলাকা দখলে নিচ্ছে তালেবান। আবার দখল হওয়া বহু এলাকা তালেবানের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করছে সরকারি বাহিনী। এরমধ্যে তালেবানের অগ্রযাত্রা বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

বালখ প্রদেশে সফরে গিয়ে এ হুশিয়ারি দেন আফগান প্রেসিডেন্ট। খবর টোলো নিউজের।

আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তালেবানের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে’ এবং যেসব এলাকা গোষ্ঠীটি দখলে নিয়েছে তা দ্রুতই পুনরুদ্ধার করা হবে।

মঙ্গলবার বালখ প্রদেশে সফর করেন সংঘাতকবলিত দেশ আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। উত্তরাঞ্চলের প্রদেশগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য এ সফর করেন তিনি।

সফর চলাকালে ঘানি বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নতি হবে।

এমন সময়ে তিনি বালখ সফরে গেলেন যখন দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে তালেবানের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে সরকারি বাহিনী।

বালখ প্রদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নারী অধিকারকর্মী, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আফগান প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কার্যালয়ের প্রধান ফজলে মাহমুদ ফজলি বলেন, পুরো পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে আফগান সরকারের যে পরিকল্পনা তা এখনও কার্যকর রয়েছে।

গত মাসে বালখ প্রদেশের প্রায় ৯টি জেলা দখলে নিয়েছে তালেবান। এ ছাড়াও প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরীফের খুব কাছে চলে এসেছে সংগঠনটির যোদ্ধারা।

প্রদেশের গভর্নর মুহাম্মদ ফরহাদ আজিমি বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের, জাতীয় সুরক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা ছিলেন। তারা প্রদেশের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করেন।

এদিকে মঙ্গলবার বামিয়ান প্রদেশের সায়ঘান জেলা, গজনির মালিস্তান, ফারাহ প্রদেশের পুর চমন এবং খোস্ট প্রদেশের মুসা খেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। একই সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে ফারিয়াব প্রদেশেও।

সম্প্রতি তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা সংগঠনটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই তালেবান দেশের বিভিন্ন এলাকা দখলে নেওয়া শুরু করে। সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে এলাকার পর এলাকা দখল আরও জোরদার করে সংগঠনটি।