কুমিল্লার চান্দিনায় কয়েক বছর যাবৎ চলছিল কাভার্ডভ্যানে ভয়স্কর অবৈধ সিএনপি পাম্প। ওই অবৈধ পাম্পের বিরুদ্ধে পত্রিকায় একাধিক সংবাদও প্রকাশ হয়। অবশেষে ওই অবৈধ পাম্পে অভিযান চালিয়েছেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) জুয়েল রানা।
বুধবার (১৪ জুলাই) ভোরে নিজের গাড়িতে গ্যাস নেওয়ার অভিনয় করে হাতেনাতে মীর হোসেন (২৪) নামে এক সরবরাহকারী শ্রমিক সহ ১২৯টি ভয়ঙ্কর সিলিন্ডার ভর্তি কাভার্ডভ্যান আটক করেন এএসপি জুয়েল রানা।
আটক মীর হোসেন চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা গ্রামের মৃত রফিক আহমেদ এর ছেলে। আটকের পর মীর হোসেন জানান- আমি মাসিক বেতনে কাজ করি। এই পাম্পের মালিক গিয়াস উদ্দিন।
জানা যায়- চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন গত ২ বছর যাবৎ উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর বাজারে ভয়ঙ্কর ও ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রাম্যমান সিএনজি স্টেশন গড়ে তোলেন।
একটি চক্র বিভিন্ন সিএনজি পাম্প থেকে অবৈধভাবে মিটার রিডিং ছাড়াই ওই গ্যাস চুরি করে কাভার্ডভ্যান যোগে বাজার মূলের চেয়ে কম মূল্যে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। ওই কাভার্ডভ্যানটির ভিতরও গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
ওই চক্র থেকে প্রভাবশালী মহলের সদস্যরা যেখানে সেখানে মিটার ও রেগুলেটর মেশিন স্থাপন করে ওই গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি কাভার্ডভ্যান নিয়ে অটোরিক্সা ও গাড়িতে বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে গ্যাস বিক্রি করছে। এতে রাতারাতিই টাকার পাহার গড়ে তুলছেন স্বার্থন্বেসী মহল।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) জুয়েল রানা জানান- গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ ওই অবৈধ ও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস পাম্প পরিচালনা করছে। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বুধবার ভোরে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ, উপ-পরিদর্শক (এস.আই) গিয়াস উদ্দিনসহ ক্রেতা সেজে গ্যাস নিতে গিয়ে সরবরাহকারী একজনকে আটক করি এবং সিলিন্ডার ভর্তি কাভার্ডভ্যান আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
এএসপি জুয়েল রানা আরও জানান- কাভার্ডভ্যানে গ্যাস এনে সরবরাহ করা সম্পূর্ণ অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো যে কোন সময় বিস্ফোরণ হয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকেব।