লাফিয়ে লাফিয়ে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকা কুমিল্লায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাও। গত ২৪ ঘন্টায় মহামারী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২২ জন। তাদেরমধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৭৮জন। এদিন জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৯জন। এর আগে গত মঙ্গলবার ১৩ জুলাই কুমিল্লা একদিনে সর্বোচ্চ ৫৪৩ জন করোনা আক্রান্তের রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার একদিনে আরও ৫২২ জনসহ জেলায় এই পর্যন্ত ১৯ হাজার ৪৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১২ হাজার ৭৫৭ জন। আর মারা গেছেন ৫৭১ জন। বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ১৫ জুলাই বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ২৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ১৭৮ জন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরে ৩০ জন, সদর দক্ষিণে ১৭জন, বুড়িচংয়ে ৪২, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১৩, চান্দিনায় ২৬, চৌদ্দগ্রামে ২১, দেবিদ্বারে ১৬, দাউদকান্দিতে ১৩, লাকসামে ২২, লালমাইয়ে ১০, নাঙ্গলকোটে ২৮, বরুড়ায় ৩৫, মনোহরগঞ্জে ১৩, মুরাদনগরে ৪২, মেঘনায় দুই, তিতাসে এক ও হোমনায় ১৩ জন শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে আক্রান্ত হয়ে মারা ৯ জনের মধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪জন এবং চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, দাউদকান্দি, লালমাই ও নাঙ্গলকোটে একজন করে।
সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, কুমিল্লায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। যদি এ মুহুর্তেও মানুষের মাঝে সচেতনতা না বাড়ে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে সর্বসাধারণের সচেতনতা বাড়াতে প্রতিদিনই মোবাইল কোর্টের (ভ্রাম্যমাণ আদালত) অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চলমান শাটডাউনে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণও করা হচ্ছে। আমরা চাই বিনা প্রয়োজনে কেউ যেন ঘর থেকে না বের হয়।