জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। নিহতদের বেশিরভাগই নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া ও রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার জার্মান পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েছে ভেলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাইনল্যান্ড-পালাটিনেটে ছয়টি বাড়ি ভেঙে পড়ার পর অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া শল্ড অঞ্চলের আরও ২৫টি বাড়ি যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
কবলেনজ পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করতে হবে, এমন লোকের সংখ্যা সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে খবরে বলা হচ্ছে, বন্যার কারণে অন্তত অর্ধশত লোক ছাদের ওপর আটকা পড়েছেন।
পুলিশের মুখপাত্র আরও বলেন, অনেক জায়গায় দমকল ও উদ্ধারকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের কাছে সুনিশ্চিত খবর নেই, কারণ উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে।
এদিকে, বন্যার্তদের উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া দুই কর্মী মারা গেছেন। বুধবার দায়িত্বপালনকালে নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়ার অ্যাল্টেনা ও উইডল শহরে ওই দুজন প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে বুধবার থেকে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে বহু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সরিয়ে নিতে হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষকে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি সড়ক। বন্যার কারণে রাইনল্যান্ড-পালাটিনেটের ভলকানেফেল জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়ার বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ভারী যন্ত্রপাতিসহ দুই শতাধিক সেনা পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশী রাইনল্যান্ডে কাজ করছেন অন্তত ৭০ জন সেনা। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারও।
বন্যার কারণে পশ্চিম জার্মানির দুই লক্ষাধিক বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিঘ্ন ঘটছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহেও।
জার্মান আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সারা দিন দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এ অঞ্চলে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ঝরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।