শুধু ফুটবলই নয়, সমগ্র ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা ট্রান্সফারটি হতে পারতো লিওনেল মেসিকে ঘিরে। কিন্তু সেটা হয়নি। বার্সার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বাই আউট ক্লজ কার্যকর ছিল না। মেসি হয়ে পড়েছিলেন ফ্রি এজেন্ট। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি বার্সাতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তিতেও স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন।
বড় ট্রান্সফারের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ঘিরেও। কিন্তু যা খবর শোনা যাচ্ছে, তাতে রোনালদো সেই জুভেন্টাসেই থেকে যাচ্ছেন সম্ভবত। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি।
আরেকটি বড় ট্রান্সফারের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপের রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এমবাপে রিয়ালে যান, তখন ট্রান্সফারের রেকর্ড ঘটে কি না দেখার বিষয়। এমবাপের সতীর্থ নেইমারই এখনও পর্যন্ত ২২২ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার রেকর্ডের অধিকারী ফুটবলার।
এতসব আলোচনা, ডামাঢোলের মধ্যে হঠাৎ নতুন খবর, চলতি মৌসুমের মেগা ট্রান্সফার তথা দলবদলটি করতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারেরও অধিনায়ক তিনি।
টটেনহ্যামের ঘরের ছেলেতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্রিটিশ মিডিয়ার রিপোর্ট, ১৯০ মিলিয়ন ইউরোয় (প্রায় ১ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা) ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিচ্ছেন কেইন।
প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি। হ্যারি কেইন যোগ দিলে আগামী মৌসুমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে দলটি। স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কা জানিয়েছে, টটেনহ্যামের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি নাকি হ্যারি কেইনকে ক্লাব ছাড়ার অনুমতিও দিয়ে দিয়েছেন।
নতুন মৌসুম শুরুর আগেই হ্যারি কেইন তার ক্লাবের কাছে প্রকাশ করেছেন যে, তিনি আর টটেনহ্যামে থাকতে চান না। তিনি চান ট্রফি জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে। এ কারণে ট্রফি জয় করা যায়, এমন কোনো ক্লাবে যোগদান করতে।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সান জানিয়েছে, ১৯০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে টটেনহ্যাম থেকে ম্যানসিটিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সিটির সঙ্গে চার কিংবা পাঁচ বছরের চুক্তি করতে যাচ্ছেন তিনি। পারিশ্রমিক হবে সপ্তাহে ৪ লাখ ইউরো।
সদ্য সমাপ্ত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত খেলেছিলেন হ্যারি কেইন। দলকে প্রথমবারেরমত তুলে এনেছিলেন ইউরোর ফাইনালে। যদিও ফাইনালে এসে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যেতে হয়েছিল কেইনদের। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সবার নজর কেড়ে নেন ইংলিশ অধিনায়ক।
ইউরোর শুরুর আগেই গ্যারি নেভিলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কেইন বলেছিলেন, ‘টটেনহ্যামের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। আমি চাই আরও বড় ক্লাবের হয়ে বড় ম্যাচ খেলতে।’