প্রতিপক্ষ ফুটবলারের ঘাড়ে এবং কানে কামড় বসিয়ে দেয়ার জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত উরুগুয়ের ফুটবলার, বার্সেলোনার সাবেক তারকা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। এবার তার সেই স্মৃতি ফিরে আসলো টোকিও অলিম্পিকে।
ছেলেদের হেভিওয়েট বক্সিং ইভেন্টে শেষ ষোলোয় মুখোমুখি হয়েছিলেন মরক্কোর ইউনেস বাল্লা এবং নিউজিল্যান্ডের ডেভিড নায়কা। এ ম্যাচেই এক অভাবনীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল পুরো ক্রীড়া বিশ্ব। ম্যাচের মধ্যেই নায়কার কামে কামড় বসিয়ে দিলেন ইউনেস বাল্লা।
প্রথম দুই রাউন্ডে দুই বারের কমনওয়েলথ গোল্ড মেডেলিস্টের বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি বাল্লা। শেষ রাউন্ডে পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে নিজের মনসংযোগ হারিয়ে হঠাৎ করেই প্রতিপক্ষের কানে কামড় বসিয়ে দেন বাল্লা। ঘটনাটি একেবারেই পছন্দ করেননি নায়কা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রেফারিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাল্লার সৌভাগ্যই বলতে হবে। সাধারণত এমন ঘটনায় ম্যাচ থেকে বহিষ্কার হওয়ারই; কিন্তু ভাগ্যের জোরে রেফারির চোখে ঘটনাটি না পড়ায় কোনরকম শাস্তি পাননি বাল্লা। তবে এই ঘটনা সত্ত্বেও নিজের মনোসংযোগ নষ্ট হতে দেননি কিউয়ি বক্সার। বাল্লাকে হেলায় হারিয়ে ৫-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেন তিনি।
এমন ঘটনা খুবই বিরল হলেও প্রথম নয়। এর আগেও বক্সিং বিশ্ব এমন ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৭ সালে অনেকটা একইরকম ঘটনা ঘটান কিংবদন্তি বক্সার মাইক টাইসন। এভান্ডার হোলিফিল্ডের বিপক্ষে বিখ্যাত রিম্যাচে প্রতিপক্ষকে কামড়ে দেন টাইসন। তবে তা অলিম্পিক্সে ঘটেনি। মেগা ইভেন্টের ইতিহাসে সম্ভবত এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটলো।
অবশ্য ডেভিড নায়কা প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ পদক থেকে রয়েছেন আর মাত্র একটি জয় দুরে। ১৯৯২ সালে নিউজিল্যান্ডের ডেভিড টুয়াস রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। এরপর এবার অলিম্পিকে পদক জিততে যাচ্ছেন নায়কা।