করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হলে প্রয়োজন জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি) নম্বর। যাদের এনআইডি নম্বর নেই, তারা সহসাই টিকার আওতায় আসতে পারছেন না। তবে যাদের বয়স হয়েছে কিন্তু এনআইডি কার্ড করেননি, তাদের জন্য নতুন এনআইডি করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন এনআইডি করা এবং অনলাইন থেকে কার্ড প্রিন্টসহ যাবতীয় সেবা পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা না থাকলেও কঠোর বিধিনিষেধে স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই জনসাধারণের কাছে এনআইডি সেবা পৌঁছে দিতে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করছেন অনুবিভাগটির মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম হুমায়ুন কবীর।
মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন বলেন, শুরু থেকে আমরা নিয়মিত অফিস করছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন শিফটে অফিস করছেন। আমাদের জন্য যাতে কোনো মানুষ বিপদে না পড়েন, সেজন্য অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি।
অনলাইনে ভোটার হলেই এনআইডি নাম্বার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আসছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোভিডকে সামনে রেখেই এই কাজটা করেছি। সাধারণ মানুষ যেন এসএমএস দেখেই বুঝতে পারেন যে তাদের এনআইডি হয়ে গেছে। এই এসএমএসের বিষয়টা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এটা কাজ করছিল না। আমাদের টেকনিশিয়ানরা বিষয়টির সমাধান করেছে।
প্রসঙ্গত, এখন থেকে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর এসএমএসের মাধ্যমে চলে যাবে। এতদিন এনআইডি নম্বর জানার জন্য নির্বাচন অফিসে বা ১০৫ নম্বরে মেসেজ করে অপেক্ষা করতে হতো। কিংবা কল সেন্টারে ফোন করে জানতে হতো। সমস্যার সমাধান হওয়াতে এনআইডি নম্বরের জন্য এখন আর অপেক্ষা করতে হবে না।