ফ্রান্সে অভিযোগ উঠেছে, ‘পেগাসাস’ নামে ইসরায়েলি স্পাই সফটওয়্যার দিয়ে ফোনে আড়িপাতার তালিকায় দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ফোন নম্বরও ছিল। এরপর ম্যাক্রোঁ ফোন বদল করে নিয়েছেন। যদি শুধু সরকারি সংস্থাতেই পেগাসাস বিক্রি করা হয়, তাহলে মাক্রোঁর ফোনে কী করে আড়িপাতা হয়? এই প্রশ্ন ওঠার পরই ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা আড়িপাতার অভিযোগকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বিস্তারিত তদন্ত হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্টজ এখন ফ্রান্স সফর করছেন। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রান্টজ জানিয়েছেন, সরকারি সংস্থা ছাড়া অন্য কাউকে পেগাসাস ব্যবহার করার অনুমতি দেয় না ইসরায়েল। সেখানেও শর্ত থাকে আইনি পথে পেগাসাস ব্যবহার করতে হবে এবং অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদকে রোধ করার কাজেই পেগাসাস ব্যবহার করতে হবে।
সম্প্রতি পেগাসাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন দেখা দিয়েছে। পেগাসাস ব্যবহার করে ফোনের ক্যামেরা ও মাইক অন করা যায়। ফোনের সব তথ্য জানা যায়। পেগাসাস দিয়ে আড়িপাতার তালিকায় বিশ্বজুড়ে ৫০ হাজার সেলফোনের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান, বিরোধী নেতা-নেত্রী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, বিচারপতিদের ফোনও রয়েছে।
পেগাসাসের নির্মাতা এনএসও সম্প্রতি জানিয়েছিল, মাক্রোঁর ফোন টার্গেট ছিল না। আর সরকারি সংস্থা ছাড়া আর কাউকে তারা পেগাসাস বিক্রি করেনি। কিন্তু তারপরও মাক্রোঁ তার ফোন বদল করেছেন। বিভিন্ন দেশে এই আড়িপাতা নিয়ে বিতর্ক জোরদার হয়েছে। ভারতে আড়িপাতা নিয়ে সংসদের অধিবেশন চলতে দিচ্ছে না বিরোধীরা।
বুধবার ফ্রান্স ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে পেগাসাস ছাড়াও ইরানের পরমাণু প্রকল্প, লেবাননকে অস্ত্র বিক্রিসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সূত্র : ডয়চে ভেলে, এএফপি, ডিপিএ