দেশে
গত এক দিনে আরও ১৫ হাজার ২৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে;
মৃত্যু হয়েছে ২৩৯ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল
পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ২৭১ জনের
মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হল ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জন কোভিড রোগী; আর আক্রান্তদের মধ্যে মোট ২০ হাজার ২৫৫ জনের মৃত্যু হল।
সরকারি হিসেবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ১৪ হাজার ৩৩৬ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১০ লাখ ৫০ হাজার ২২০ জন।
আগের
দিন বুধবার সারা দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, এক
দিনে মৃত্যু হয় ২৩৭ জনের। তার আগের দিন মঙ্গলবার এক দিনে ২৫৮ জনের মৃত্যুর
রেকর্ড হয়।
বাংলাদেশ গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার দশ
দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়ে যায় এ
বছর ২৯ জুলাই, একই দিনে কোভিডে মৃত্যুর মোট সংখ্যা পেড়িয়ে যায় ২০ হাজার।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৬ হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৬ হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের ৪৫ শতাংশের বেশি।
আর এই সময়ে যে ২৩৯ জন মারা গেছেন, তাদের ৭৬ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন এবং খুলনা বিভাগে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪১ লাখ ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ১৯ কোটি ৬০ লাখের বেশি রোগী।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ৫২ হাজার ২৮২টি নমুনা
পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ, যা আগের দিন ৩০ দশমিক ১২ ছিল।
দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত
এক দিনে ঢাকা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭১৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত
হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিভাগের ফরিদপুরে ১৪৪ জন, গাজীপুরে ২৬৮ জন,গোপালগঞ্জে
২০৪ জন, কিশোরগঞ্জে ১৩২ জন, মানিকগঞ্জে ২০৩ জন, মুন্সিগঞ্জে ২৯৪ জন,
নরসিংদীতে ২৭৯ জন, নারায়ণগঞ্জে ২৫৪ জন, রাজবাড়ীতে ১৪৭ জন, শরীয়তপুরে ১৬৩ জন
এবং টাঙ্গাইল জেলায় ১২৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
চট্টগ্রাম
বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১৩১৫ জন, কক্সবাজারে ৩২৪ জন, ফেনীতে ২১৭ জন,
নোয়াখালীতে ২২৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ২০৫ জন, চাঁদপুরে ২৪১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
২৪৪ জন এবং কুমিল্লায় ৮৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ২১২ জন, পাবনায় ১২৫ জন, সিরাজগঞ্জে ১৪৯ জন এবং বগুড়ায় ১১২ জন নতুন রোগী পাওয়া গেছে গত একদিনে।
খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোরে ২৭৯ জন, খুলনায় ১৮০ জন এবং কুষ্টিয়ায় ১৪৯ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।
অন্য
বিভাগগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহে ৪৫৮ জন, নেত্রকোণায় ১০২ জন, বরিশালে ২৬৫ জন,
পটুয়াখালীতে ১৭৮ জন, ভোলায় ১১৩ জন, সিলেটে ৩৮৬ জন, সুনামগঞ্জে ১৩০ জন,
দিনাজপুরে ১৮০ জন এবং রংপুরে ১৭৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
ঢাকা
বিভাগে গত এক দিনে যে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৪২ জনই ছিলেন ঢাকা
জেলার। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা যাওয়া ৫৭ জন জনের মধ্যে ১৮ জন চট্টগ্রাম
জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
এছাড়া খুলনা বিভাগে ৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন,
বরিশাল বিভাগে ১৪ জন, সিলেট বিভাগে ১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন এবং
ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে গত এক দিনে।
মৃত ২৩৭ জনের মধ্যে
১৩৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৪৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের
মধ্যে, ৩৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের
মধ্যে এবং ৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
তাদের মধ্যে ১২৩ জন
ছিলেন পুরুষ, ১১৬ জন ছিলেন নারী। ১৮১ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪৩ জন বেসরকারি
হাসপাতালে এবং ১৫ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।