ক্ষমতাচ্যুত করার আগে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ডেকে নিয়ে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে মারধর করা করা হয়- এই নিউজ অস্বীকার করেছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার মিডলইস্ট আইয়ের এক খবরে তাকে মরধরের চাঞ্চল্যকর তথ্য জানানো হয়।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যম মাগরিব স্ট্রিটকে তিউনিসিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশি বলেন, ওইদিন রাতে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্যও করা হয়নি।
তবে প্রধানমন্ত্রী মেশিশিকে মারধরের যে রিপোর্ট ‘মিডলইস্ট আই’ করেছে তারা সে বিষয়ে অটল। অর্থাৎ সংবাদমাধ্যমটির দাবি-ক্ষমতাচ্যুত করার আগে তাকে (প্রধানমন্ত্রী) অবশ্যই মারধর করা হয়েছে।
ওই খবরে বলা হয়, গত রোববার তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ডাকেন। সেখানে তিনি মেশিশিকে পদত্যাগ করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে রাজি না হলে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তিউনিসিয়ার বাইরের দেশের নাগরিকও ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট প্যালেসে মিশরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা প্রেসিডেন্টকে অভ্যুত্থানের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ বা মারধরের সময় মিশরের কর্মকর্তারা কী ধরনের ভূমিকা রেখেছে সেটা জানা যায়নি।
রোববার রাতেই প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে বরখাস্ত এবং পার্লামেন্ট স্থগিত করেন। সংসদ স্থগিতের পর মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি প্রেসিডেন্টকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এদিকে, ঘটনার পর তিউনিসিয়ায় চরম রাজনৈতিক অসন্তোষ বিরাজ করছে। পার্লামেন্ট স্থগিত করার পর স্পিকার রাশেদ ঘানৌচির ডাকে রাস্তায় নেমে আসেন সরকার-সমর্থকেরা। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট সাঈদ বিরোধীরা এই ঘটনাকে সেনা অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।