বরিশাল বিভাগে একদিনে করোনা ও উপসর্গে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৩৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা-সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
অপরদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চারজন ও অন্য ছয়জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল ৩৪০ জন। তার মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী ১৪৩ জন।
তিনি আরও জানান, মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। শনাক্তের হার ৫৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশালে বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগের ছয় জেলায় ৬৮৭ টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি ঝালকাঠী জেলায়। এ জেলায় শনাক্তের হার ৬০ শতাংশ। ঝালকাঠীতে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ভোলা জেলায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ। এ জেলায় ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরপর বরিশাল জেলায় শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ। এ জেলায় ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৯ জনের করো শনাক্ত হয়েছে। ভোলা জেলায় শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ জেলায় ৩৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫৯ জনের করো শনাক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে পিরোজপুর জেলায় ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। পটুয়াখালী জেলায় ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বরগুনা জেলায় তিনজনের নমুনা পরীক্ষায় এক জনের করো শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।